ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ: বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইড

ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ: বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইড
ইউরোপীয় কমিশনের অর্থায়নে পরিচালিত Erasmus Mundus Joint Masters (EMJM) হলো ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক স্কলারশিপগুলোর একটি। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে ইউরোপের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ পান।

কেন ইরাসমাস মুন্ডাস এত জনপ্রিয়

 • এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অফিসিয়াল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম।

 • একাধিক ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসোর্টিয়ামে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়, ফলে শিক্ষার্থীরা অন্তত দুইটি দেশের শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনা করতে পারে।

 • বৃত্তি ও টিউশন ফি ছাড়ের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য মাসিক ভাতা এবং ভ্রমণ খরচের সুবিধাও থাকে।

কী কী সুবিধা পাওয়া যায়

 • টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ – নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না।

 • মাসিক ভাতা (Living Allowance) – সাধারণত €১,০০০-€১,৪০০ (প্রোগ্রাম ও দেশের উপর নির্ভরশীল)।

 • ভ্রমণ ভাতা ও স্থানান্তর ভাতা – প্রোগ্রাম অনুযায়ী যাতায়াত ও স্থানান্তরের জন্য সহায়তা।

 • বহু দেশে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা – প্রতি সেমিস্টার বা বছর শেষে নতুন দেশ/বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের সুযোগ।

(দ্রষ্টব্য: ভাতা ও সুবিধাগুলো সব প্রোগ্রামে একরকম নয়। নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখে নিশ্চিত হোন।)

যোগ্যতা

 • একটি স্বীকৃত ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে অথবা ব্যাচেলরের শেষ বছরে থাকতে হবে (মাস্টার্স শুরু হওয়ার আগে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে)।

 • যেই প্রোগ্রামে আবেদন করছেন, সেই প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হবে (ভাষাগত দক্ষতা, ন্যূনতম জিপিএ ইত্যাদি)।

 • বয়সের কোনো কঠোর সীমা নেই; নাগরিকত্ব ও বসবাসের প্রমাণ (Proof of Residence) দিতে হতে পারে।

 • GRE প্রয়োজন নেই, তবে প্রোগ্রাম চাইলে জমা দিতে পারেন।

 • কাজের অভিজ্ঞতা সাধারণত বাধ্যতামূলক নয়, তবে থাকলে বাড়তি সুবিধা হতে পারে।

আবেদন করার জন্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

 1. অফিসিয়াল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (ব্যাচেলর বা সমতুল্য)।

 2. ডিগ্রি সার্টিফিকেট / সমতুল্য প্রমাণপত্র।

 3. লেটার অব মোটিভেশন (Statement of Purpose)।

 4. দুইটি রেকমেন্ডেশন লেটার।

 5. Europass ফরম্যাটে সিভি।

 6. Proof of Residence (বসবাসের প্রমাণপত্র)।

 7. পাসপোর্ট বা জাতীয় আইডির স্ক্যান কপি।

 8. ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সনদ (প্রোগ্রামভেদে)।

 9. অন্যান্য সহায়ক কাগজপত্র (যদি থাকে)।

আবেদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা

 • আবেদনের সময়সীমা: প্রোগ্রামভেদে আলাদা, তবে সাধারণত অক্টোবর–জানুয়ারির মধ্যে পরবর্তী একাডেমিক বছরের জন্য আবেদন শুরু হয়।

 • কীভাবে আবেদন করবেন:

 • Erasmus+ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দের প্রোগ্রামের ওয়েবপেজে যান।

 • প্রোগ্রামের যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেখে নিন।

 • অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।

অফিসিয়াল লিঙ্ক:

 • Erasmus Mundus Joint Masters (Students):

https://erasmus-plus.ec.europa.eu/opportunities/opportunities-for-individuals/students/erasmus-mundus-joint-masters

 • Erasmus+ Programme Guide (EMJM):

https://erasmus-plus.ec.europa.eu/programme-guide/part-b/key-action-2/erasmus-mundus

টিপস

 • আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন অন্তত কয়েক মাস আগে, যাতে ডকুমেন্টস ঠিকভাবে প্রস্তুত করা যায়।

 • প্রতিটি প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভাতা, ভ্রমণ খরচ, ইংরেজি স্কোরের শর্ত ইত্যাদি যাচাই করুন।

 • Erasmus Mundus-এ কোনো অফিসিয়াল আবেদন ফি নেই। যদি কেউ “সাপোর্ট ফি” দাবি করে, জেনে নিন সেটা তৃতীয়-পক্ষের সেবা কি না।

যাদের সাথে রিকোয়ারমেন্ট গুলা মিট করে তারা ট্রাই করে দেখতে পারেন। যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট এ করতে পারেন😊

Credit - Kazi Abdullah

07:21 • 13/09/2025 from Poole, England 🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿

إرسال تعليق

أحدث أقدم