অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে!!
মানুষ আর ভালোবাসা, মায়া,
টান কিছুই অনুভব করে না।
যেখানে যত্ন, সম্মান, এবং গুরুত্ব পাওয়া যায় না, সেখান থেকে মানুষ ধীরে ধীরে সরে যেতে চায়,সম্পর্ক তখন মানসিক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়ায়।
সম্পর্কের অনুভূতি নষ্ট হওয়ার কারণ
১। অবহেলা
কোনো মানুষ যখন তার সঙ্গীকে অবহেলা করে বা গুরুত্ব দেয় না,
তখন তা ধীরে ধীরে সঙ্গীর মনে হতাশা তৈরি করে, প্রতিনিয়ত অবহেলা একজনের প্রতি অন্যজনের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা ভেঙে দেয়..।
২। মিথ্যা এবং লুকোচুরি
সম্পর্কে সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,
মিথ্যা বলা বা সত্য আড়াল করার প্রবণতা সঙ্গীর প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়,
এতে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়
এবং সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করে...।
৩। অসম্মান এবং অপমান
যদি এক সঙ্গী অন্যজনের আত্মমর্যাদা বা অনুভূতিকে সম্মান না করে,
বারবার ছোট করে কথা বলে বা অপমান করে,
তাহলে সেই সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়...।
৪। মনোযোগের অভাব
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যত্ন, সময়,
এবং আন্তরিকতা প্রয়োজন,
যখন সঙ্গী মনোযোগ দেয় না,
তখন অপরজন একাকিত্বে ভুগতে শুরু করে
এবং ধীরে ধীরে তার মনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়...।
৫। অপ্রত্যাশিত ব্যবহার
আচরণের পরিবর্তন, অনিরাপত্তা তৈরি করা,
এবং অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক মনোভাব সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়....।
অনুভূতি নষ্ট হওয়ার ফলাফল
১। ভালোবাসার অভাব
একবার অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে,
আগের মতো ভালোবাসা আর ফিরে আসে না, এমনকি যতই চেষ্টা করা হোক না কেন,
সেই টান আর আগ্রহ কাজ করে না...।
২। সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি
যখন দুইজনের মধ্যে অনুভূতির অভাব দেখা দেয়, তখন মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়,
একসাথে থেকেও সঙ্গীরা একাকিত্ব অনুভব করে...।
৩। অসন্তুষ্টি এবং মানসিক যন্ত্রণা
যেখানে ভালোবাসা আর যত্ন নেই,
সেখানে থেকে যাওয়াও কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে,
সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাওয়ার ফলে মন এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে...।
৪। বিশ্বাস ভেঙে যাওয়া
অনুভূতি নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাসের জায়গাটাও দুর্বল হয়ে যায়,
তখন কোনো কথাই আর হৃদয়ে গেঁথে বসে না, সবকিছুতে সন্দেহ কাজ করে...।
৫। সম্পর্ক থেকে মুক্তি
অনেক ক্ষেত্রে মানুষ এই ধরনের সম্পর্ক আর টিকিয়ে রাখতে চায় না,
একমাত্র উপায় হিসেবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পথ বেছে নেয়...।
কীভাবে সম্পর্ক রক্ষা করা যায়
১। সততা বজায় রাখা
মিথ্যা এবং লুকোচুরি পরিহার করে সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা...।
২। গুরুত্ব দেওয়া
প্রতিদিন ছোট ছোট কাজে সঙ্গীকে অনুভব করানো যে, তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ...।
৩। সম্মান দেখানো
কথায় ও কাজে সঙ্গীর অনুভূতিকে সম্মান করা,
কোনো পরিস্থিতিতেই তাকে ছোট না করা...।
৪। সময় দেওয়া
সম্পর্কের জন্য সময় এবং মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি,
একসাথে ভালো মুহূর্ত কাটানো...।
৫। সমস্যার সমাধান করা
সম্পর্কের মধ্যে কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত...।
সম্পর্ক ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে টিকে থাকে,
অনুভূতির প্রতি যত্ন না নিলে,
অবহেলা করলে তা নষ্ট হয়ে যায়...।
তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে ,
সঙ্গীর অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে হবে,
এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে...।
অন্যথায়...!
সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে,
এবং একসময় তা ভেঙে যাবে....।