বর্তমানে গ্লোবালাইজেশন ও ডিজিটালাইজেশনের ফলে ল্যাপটপ-কম্পিউটারের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। ল্যাপটপ ছাড়া আজকাল কাজ করার কথা চিন্তাই করা যায় না। পড়াশোনা থেকে শুরু করে ব্যবসা -বাণিজ্য সবকিছুতেই ল্যাপটপ প্রয়োজন। তবে বর্তমান বাজার দরে, মানুষের কাছে চাহিদা বৃদ্ধি এবং ডলারের মানের উর্ধ্বগতির জন্য ল্যাপটপ-এর দাম বেড়েছে অনেক এবং দাম অনেক সময় বাজেটের বাইরে চলে যায়। তাই স্বল্পমূল্যের এবং ব্যবহৃত ল্যাপটপের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে পুরোনো ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হন। আর তাই পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সময় বেশ কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পুরোনো ল্যাপটপের দাম তুলনামূলক কম হলেও সব যন্ত্রাংশ ভালোভাবে কাজ না-ও করতে পারে। আবার মেলে না প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবাও । ফলে অনেকেই না বুঝে পুরোনো ল্যাপটপ কিনে সমস্যায় পড়েন। এ জন্য কেনার আগে অবশ্যই ল্যাপটপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের তথ্য ভালোভাবে জানতে হবে। এর পাশাপাশি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় লক্ষনীয়। নিম্নে তা আলোচনা করা হল-
০১. ল্যাপটপের বডি কন্ডিশন
০২. ওপেন করার সময় বায়োস থেকে মাদারবোর্ড এর বর্ন ডেট চেক & স্পেকস চেক
০৩. ওপেনিং টাইম কাউন্ট (৫-১২ সেকেন্ড)
০৪. ফুল ব্রাইটনেস করে ব্যাটারি পার্সেন্ট ও সময় নোট করে রাখা
০৫. সকল পোর্টস চেক
০৬. কিবোর্ড এর সমস্ত বাটন চেক
০৭. ওয়েবক্যাম + ফিঙ্গারপ্রিন্ট + IR সেন্সর থাকলে সেগুলো চেক
০৮. ডুয়াল স্পিকার চেক
০৯. ডিসপ্লে চেক
১০. টাস্ক ম্যানেজার থেকে সিপিইউ, জিপিইউ, এসএসডি ইত্যাদি চেক ( সিপিইউ ইউস পার্সেন্ট ১-৬/৭/৮% এর মাঝেই থাকবে)
১১. ব্যাটারি হেলথ চেক
১২. এসএসডি হেলথ চেক
১৩. ইন্টারন্যাশনাল ওয়ারেন্টি ডেট চেক (কবে শেষ হয়েছে)
১৪. স্ট্রেস টেস্ট চেক ( ওভারহিট হচ্ছে কিনা + কুলিং ফ্যান কোন কর্কর বা উচ্চ শব্দে ঘুরছে কিনা )
১৫. ৬৫ ওয়াট এর অরিজিনাল চার্জার কিনা
১৬. প্রসেসর জেনারেশন চেক
১৭. Ram এর বাস স্পিড চেক/DDR চেক
১৮. ফিজিক্যাল কন্ডিশন চেক
১৯. প্রাইস চেক