কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

ভুল মানুষকে বিয়ে করলে জীবন জাহান্নাম হয়ে যায়— এটা বইয়ে লেখা থাকে না। 

এটা বোঝা যায় দুপুর ৩টার ঝগড়ার পর রাতে খালি পেটে মনে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে একা ঘুমাতে গিয়ে।

বিয়ে নামক এই রহস্যময় চুক্তি নিয়ে আমাদের যত ভাবনা, তার ৯০%-ই কল্পনার ওপর ভিত্তি করে।

চেহারা, মেকাপ, হাসি—সব দেখে মনে হয়, 

এই মেয়েটাকে বিয়ে করলে জীবনটা সিনেমার  মতো হবে।

কিন্তু সমস্যা হয় তখনই, যখন সেই মুভির শেষে ভেসে ওঠে: To be continued… in Family Court.

কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

চলুন, একটু বুঝি কেমন মেয়েদের বিয়ের পর ডিভোর্স হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার। 

১. যে নিজেকে আপনার প্রতিপক্ষ ভাবে

তার সঙ্গে আলোচনা মানে একেকটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

তিনি বলবে— তুমি ভুল বলছো

আপনি বলবেন— ঠিক আছে, ভুল বলেছি।

তারপরও বলবে— তুমি কিছুই বুঝতে পারো না। তোমাকে বিয়ে করে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল। 

বিয়ে যেখানে প্রতিযোগিতা হয়ে যায়, সেখানে ভালোবাসা হেরে যায়।

২. যে ভাবে—সংসার মানেই বাকি জীবন আমাকে কন্ট্রোল করা হবে!

এই টাইপ মেয়েরা সাধারণত বলে—

“আমাকে স্বাধীনতা দাও, আমাকে প্রশ্ন করবা না, আমি কার সঙ্গে কোথায় যাই তা বলার দরকার নেই।

ভালোবাসা আর স্বাধীনতা একসঙ্গে চলতে পারে—যদি সম্পর্কটা সম্মানের হয়।

কিন্তু সম্মানের মুখোশ পরে যদি সীমাহীন স্বার্থপরতা ঢুকে পড়ে, তখন ‘স্বাধীনতা’র নামে চলে ‘সম্পর্কবিনাশ’।

৩. যে ফেসবুককে ডায়েরি ভাবে

আজ ঝগড়া করলেন, কাল স্ট্যাটাস:

Some people don’t deserve love!

তারপর ইনবক্সে “আল্লাহ ভরসা আপু। কি হইছে বলেন না?” গ্যাং ঢুকল।

সংসার তখন আর ব্যক্তিগত থাকে না।

সবাই জানে আপনি সারাদিন ভাত পাননি, আর রাতে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক ছিলেন।

৪. যে রান্না করতে পারে না, সেটা না—যে রান্না শেখার আগ্রহও রাখে না

রাঁধতে পারা জরুরি নয়।

কিন্তু যখন কেউ বলে, “আমি তো মডার্ন, রান্না-টান্না আমার কাজ না”

তখন বোঝা যায়, সে সংসার নয়, সারাজীবন রেডি-মেইড লাইফ চায়।

খিদে কিন্তু মডার্ন বুঝে না, চাহিদা বুঝে না—

সে শুধু খেতে চায়।

৫. যে তার পরিবারের লোকদের সম্মান দেয় না

বিয়ের আগেই যদি আপনি দেখেন—মেয়েটি মাকে ধমক দেয়, বাবার কথা শুনে না,

তাহলে আপনার পরিবারের জন্য তার হৃদয়ে জায়গা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

যে নিজের গাছের শিকড় কেটে দেয়, সে অন্য গাছের যত্ন নিবে কিভাবে?

৬. যে বলে—“ছেলেরা মানুষ না”

এই একটা লাইনেই বুঝে নিতে পারেন—

তার ধারণা অনুযায়ী সব ছেলেই খারাপ।

আপনি ব্যতিক্রম—এটা সে শুধু বিয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করে।

তারপর একদিন দুপুরে আপনি বলে ফেলেন, “ডালে একটু বেশি লবণ হয়েছে।

আর সেদিনই আপনি তার চোখে পরিণত হন- ছেলে মানুষ মানেই অমানুষ। 

৭. যে সবসময় বলে—“আমার একটা ছেলেবেস্টফ্রেন্ড আছে”

বিয়ের পর সেই বন্ধু হঠাৎ খুব ঘনিষ্ঠ হয়,

হঠাৎ করে তার ফোনে নাম আসে: কলিজার দোস্ত।

আপনি বললে সে বলে—

তোমার সমস্যা কেন? তুমি insecure! তোমার মাইন্ড খুব ন‍্যারো! 

না ভাই, আপনি insecure না—

আপনি শুধু একজন স্বাভাবিক মানুষ, যার বুকের ভেতরে একটা প্রাণ আছে।

৮. যে সবসময় চায়—তার মতো সব চলবে

এই মেয়েরা “আমি, আমার, আমাকে” দিয়েই সংসার শুরু করে, আর সেখানেই শেষ।

আপনার পছন্দ, আপনার অপছন্দ, আপনার কষ্ট—এসব বিষয় তার রাডারে থাকে না।

সংসার যেখানে শুধু একপক্ষ শুনবে, সেখানে সম্পর্ক একদিন কান্না হয়ে ভেসে যায়।

৯. যে আত্মপ্রশংসায় ভীষণ ব্যস্ত

সবাই তাকে সুন্দরী বলে, স্মার্ট বলে,

সে নিজেকেই একমাত্র ‘লাভেবল’ ভাবে।

আপনি যেন একটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন—এমন ভঙ্গিতে কথা বলে।

এমন মেয়ের কাছে আপনি কখনো ভালোবাসার মানুষ নন। কেবল দিয়ে যাওয়ার গোলাম। 

১০. যে কখনো প্রাণ খুলে হাসে না

সে হয়তো দিনে তিনবার সেলফি তোলে,

কিন্তু একবারও প্রাণভরে হাসে না।

এমন মেয়েদের সঙ্গে জীবন মানে—

একটা সুন্দর, সাজানো ঘর; কিন্তু দরজা জানালা বন্ধ।

ভালোবাসা নেই, হাওয়া নেই।

শুধু নিঃশ্বাস টেনে বাঁচা।

বিয়ে মানেই একসাথে থাকা। 

কিন্তু প্রতিদিন যদি ‘একসাথে’ থেকে নিজেকে একা লাগে, তাহলে ডিভোর্স শুধু একটা কাগজ না, সেটা হয়ে দাঁড়ায়—নিজেকে বাঁচিয়ে তোলার একমাত্র রাস্তা।


সুতরাং…

চেহারা নয়। 

ডিগ্রি নয়।

দরকার এমন একজন মেয়ে, যার সঙ্গে ঝগড়া করলেও ঘুমানোর আগে সে বলে— ভালোবাসি তো। একটু হাসো। এখন চলো একসঙ্গে ঘুমাই।

ভুল মেয়েকে বিয়ে করলে আপনার জীবন হবে একটা রিসাইকেল বিন।

প্রতিদিন ঝগড়া, প্রতিদিন মলিন মুখ, প্রতিদিন ঘুমের ভান করে কান্না।

কিন্তু ঠিক মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনটা হবে…

এক কাপ চা, একটা গল্প, আর মানসিক শান্তিতে ভরা হাসিমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post