বাংলাদেশে একটা গুঞ্জন আছে গুগল পে নিয়ে! এখন অনেকে বলছেন গুগল পে এবং গুগল ওয়ালেট একই। বাংলাদেশে গুগল ওয়ালেট আসছে গুগল পে এর নাম করে। সাম্প্রতি বাংলাদেশে গুগল পে আসার খবর এসেছে।আজকে খবরে দেখলাম সামনের সপ্তাহে গুগল পে আসছে।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে গুগল পে এবং গুগল ওয়ালেট এক কি-না??? এর একটাই উওর : না, Google Pay এবং Google Wallet একে অপরের থেকে আলাদা twoটি সার্ভিস, যদিও দুটিরই মালিকানা Google-এর। প্রধান পার্থক্যগুলো নিচে তুলে ধরলাম :
প্রধান উদ্দেশ্য
Google Pay: ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম; দোকানে অথবা অনলাইনে পণ্য/সেবা কেনাকাটা, বন্ধুদের টাকা পাঠানো বা বেমনতি গ্রহণ করার জন্য।
Google Wallet: ভার্চুয়াল ওয়ালেট যেখানে আপনি পেপারলেস পাস (boarding passes), টিকিট, কার্ড (credit/debit), আইডি কার্ড, loyalty কার্ড ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে পারেন।
ব্যবহারের ক্ষেত্রে
Google Pay
* UPI (ভারতে) বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করে পেমেন্ট।
* প্রত্যক্ষ দোকানে (QR কোড স্ক্যান) বা অনলাইন চেকআউটে টানজাকশন।
* বন্ধুদের সাথে peer-to-peer টাকা আদানপ্রদান (split bill ইত্যাদি)।
Google Wallet
* বিমান বা ট্রেনের boarding pass, সিনেমার টিকিট, concert বা events এর e-ticket।
* ওয়েব বা অ্যাপভিত্তিক loyalty/ব্যাংক কার্ড, স্টাডেন্ট আইডি, vaccination card ইত্যাদি ধারন।
* NFC ভিত্তিক touch-to-pay কার্ড সিমুলেশন (যদি সাপোর্ট করে)।
ইউআই/অ্যাপ
Google Pay অ্যাপ: মূলত পেমেন্ট ট্রানজেকশন ফোকাস; আপনার transaction history, bill reminders, cashback/offers দেখায়।
Google Wallet অ্যাপ: আপনার পাস, কার্ডগুলো neatly বেশি visual কার্ড স্টাইল এ সাজিয়ে রাখে।
ইউএস/গ্লোবাল
* অনেক দেশে Google একসাথে দুটো ফিচার নিয়ে আসছে (Pay + Wallet) — তবে UI’র দুটি ভিন্ন ট্যাবে পাওয়া যায়।
* ভারতে “Google Pay” মূল, “Google Wallet” এর ফিচার অনেকটাই অ্যাপের ভেতর থেকেই চলে।
সংক্ষেপে:
• টাকা পাঠানো/গ্রহণের জন্য **Google Pay**
• ডিজিটাল কার্ড/টিকেট/পাস সংরক্ষণের জন্য **Google Wallet**
আপনার ব্যবহারের প্রয়োজন অনুযায়ী দু’টির যেকোনো একটি বা উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশে গুগল পে চালু: সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধাসমূহ:
✔️ সহজ ও দ্রুত পেমেন্ট: ফোন ট্যাপ করেই কেনাকাটা, রেস্টুরেন্ট বিলসহ যেকোনো লেনদেন সহজ।
✔️ উন্নত নিরাপত্তা: কার্ড তথ্যের বদলে টোকেন ব্যবহার, ফলে প্রতারণার ঝুঁকি কম।
✔️ ফ্রি লেনদেন: গুগল পে ব্যবহার করতে আলাদা ফি লাগে না।
✔️ ডিজিটাল ওয়ালেট: একাধিক কার্ড সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এক জায়গায়।
✔️ অনলাইন ও ইন-অ্যাপ পেমেন্ট: বিভিন্ন অ্যাপে সাবস্ক্রিপশন বা শপিং সহজ।
✔️ ক্যাশ বিহীন লেনদেন : ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিকাশে সহায়ক।
✔️ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: টিকিট, ট্রাভেল ও দৈনন্দিন খরচও হবে এক ক্লিকে।
অসুবিধাসমূহ:
👁️🗨️ প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা: গ্রামীণ ও নিম্নআয়ের মানুষ অনেকেই এখনো বাইরে।
👁️🗨️ ব্যবহারজ্ঞান কম: অনেকে প্রযুক্তি ভালোভাবে না জানায় ভুল লেনদেন হতে পারে।
👁️🗨️ ফোন-ব্যাটারির ওপর নির্ভরতা: ফোন বা চার্জ না থাকলে লেনদেন বন্ধ।
👁️🗨️ সাইবার ঝুঁকি: হ্যাকিং, ফিশিং থেকে শতভাগ নিরাপত্তা মেলা কঠিন।
👁️🗨️ সকল দোকানে ব্যবহার সীমিত: প্রাথমিকভাবে অনেক দোকানে এই সুবিধা নেই।
👁️🗨️ ডেটা খরচ: ইন্টারনেট ছাড়া গুগল পে চলে না।
👁️🗨️ গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ: আর্থিক তথ্য গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
সারসংক্ষেপ:
গুগল পে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেও, এর সফল বাস্তবায়নে সচেতনতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা জরুরি।