কুরবানির সময় ২টি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা – যা অনেকেই অবহেলা করি!
১. হাড় পানিতে ফেলা থেকে বিরত থাকুন – এটি জ্বীনদের খাদ্য!
আলহামদুলিল্লাহ, কুরবানির ঈদে প্রতিটি ঘরেই মাংস রান্না হয়, আর কয়েকদিন ধরে চলেও। আমরা সাধারণত হাড় খাওয়ার পর ফেলে দেই, কিন্তু এখানেই সাবধানতা জরুরি।
অনেকেই হাড়গুলো পানিতে ফেলেন অথবা হাড় রাখা পাত্রে পানি ঢালেন। এটি ঠিক নয়। কেননা হাদীসে এসেছে:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:“তোমরা গোবর ও হাড় দ্বারা ইস্তিঞ্জা করো না, কারণ এগুলো তোমাদের জ্বীন ভাইদের খাদ্য।”📚 সহীহ মুসলিম: ৪৫০, সহীহ বুখারী: ৫৭৬
✅ হাদীস অনুযায়ী হাড় হলো জ্বীনদের রিযিক।যখন আপনি হাড় পানিতে ফেলেন, তখন সেই খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এতে জ্বীনরা ক্ষুব্ধ হতে পারে, যা অনিষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়—যেমন জাদু, রোগ-ব্যাধি বা অশান্তি।
🛑 সুতরাং কুরবানির সময় হাড় পানিতে না ফেলে শুকনো জায়গায় ফেলুন।
২. মাংসের তেলের ঝাঁজালো গন্ধ – জ্বীনদের আকৃষ্ট করে!
গরুর মাংস খাওয়ার পর আমাদের হাতে যে মোটা তেলের আবরণ পড়ে, আমরা তা অনেক সময় টিস্যু, তোয়ালে বা গামছায় মুছে ফেলি।
সমস্যা হয় তখন, যখন সেই তোয়ালে বা গামছা আবার ব্যবহার করা হয় মুখ বা শরীর মুছতে। কিছু সময় পর আপনি টের পাবেন, ঝাঁজালো এক ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে — এই গন্ধটাই জ্বীনদের আকৃষ্ট করে।
☠️ বিশেষ করে যখন অন্য কেউ (যেমন মেহমান) আপনার ব্যাবহৃত গামছা ব্যবহার করে, তখন সেই গন্ধ আরও প্রকট হয়।
🛑 তাই খেয়াল রাখুন, মাংস খাওয়ার পর ব্যবহৃত তোয়ালে বা গামছা ধুয়ে ফেলুন বা আলাদা রাখুন।এবং চেষ্টা করুন সরাসরি সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে।
🔗 উল্লেখ্য:অনেক আলেম বলেন ঝাঁজালো গন্ধ, বিশেষত পোড়া বা বাসি চর্বি জাতীয় গন্ধ জ্বীনদের প্রিয়। যদিও এক্ষেত্রে সহীহ হাদীস সরাসরি নেই, তবে অভিজ্ঞতা এবং প্রাচীন ইসলামী জ্ঞান অনুযায়ী এটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
📌 সতর্ক থাকুন, পরিবারকেও সচেতন করুন।কুরবানির আনন্দে যেন কোনো অদৃশ্য বিপদ আমাদের ঘরে ঢুকে না পড়ে।