ব্যাক টু ব্যাক এলসি (Back-to-Back Letter of Credit)

ব্যাক টু ব্যাক এলসি (Back-to-Back Letter of Credit) হলো এক ধরনের লেটার অফ ক্রেডিট, যা মূলত রপ্তানি ব্যবসায় ব্যবহৃত হয়। 

এটি তখন খোলা হয় যখন কোনো রপ্তানিকারক (Exporter) বিদেশী ক্রেতার কাছ থেকে একটি মূল এলসি (Master / Export LC) পায় এবং সেই এলসি-কে ভিত্তি করে স্থানীয় সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে কাঁচামাল বা পণ্য সংগ্রহ করার জন্য আরেকটি অভ্যন্তরীণ এলসি (Import LC) ইস্যু করে।

সহজভাবে বললে –

একজন রপ্তানিকারক ক্রেতার কাছ থেকে একটি এলসি পেয়ে তা ব্যবহার করে স্থানীয় সাপ্লায়ার বা প্রস্তুতকারকের পক্ষে আরেকটি এলসি খুলে দেয়।

ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর কার্যপ্রণালীঃ

বিদেশী ক্রেতা (Buyer) → রপ্তানিকারকের (Exporter) নামে একটি Master LC ইস্যু করে।

রপ্তানিকারক (Exporter) → সেই Master LC কে ভিত্তি করে তার ব্যাংক থেকে Back-to-Back LC খুলে স্থানীয় প্রস্তুতকারক/সরবরাহকারীর নামে।

স্থানীয় প্রস্তুতকারক (Supplier) → Back-to-Back LC এর বিপরীতে কাঁচামাল বা পণ্য সরবরাহ করে।

রপ্তানিকারক (Exporter) → পণ্য প্রস্তুত করে বিদেশী ক্রেতার কাছে রপ্তানি করে।

রপ্তানি সম্পন্ন হলে Master LC থেকে টাকা আসবে এবং সেই টাকা দিয়েই Back-to-Back LC এর পেমেন্ট সমন্বয় হবে।

প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

Back-to-Back LC সবসময় একটি Master LC-এর ওপর নির্ভরশীল।

Exporter সাধারণত নিজের তহবিল ব্যবহার না করেই সরবরাহকারীর কাছ থেকে মালামাল সংগ্রহ করতে পারে।

এটি মূলত রেডিমেড গার্মেন্টস (RMG) সেক্টরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

সুবিধাঃ

Exporter তার নিজস্ব পুঁজি ছাড়াই সরবরাহকারীর কাছ থেকে মাল সংগ্রহ করতে পারে।

Exporter ও Supplier উভয়ের জন্যই ব্যবসার সুযোগ তৈরি হয়।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঝুঁকি কমে, কারণ লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়।

সীমাবদ্ধতাঃ

Back-to-Back LC শুধুমাত্র Master LC এর শর্ত পূরণ সাপেক্ষে কার্যকর।

যদি বিদেশী ক্রেতা সময়মতো অর্থ প্রদান না করে, তবে Exporter ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

Supplier-এর জন্য অর্থপ্রাপ্তি নির্ভর করে Exporter-এর সফল রপ্তানির ওপর।

Post a Comment

Previous Post Next Post