গবেষণা জগতে কোনো জার্নালের মান, গ্রহণযোগ্যতা এবং impact বোঝার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ দুটি সূচক হলো ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর (Impact Factor) এবং সাইটস্কোর (CiteScore)। এই সূচকগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রসমূহ কতবার অন্য গবেষণায় সাইট (citation) হয়েছে।
ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর (Impact Factor)
ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর হলো কোনো জার্নালের মান পরিমাপের একটি সূচক। ১৯৬০-এর দশকে ড. ইউজিন গারফিল্ড (Dr. Eugene Garfield) এটি প্রথম চালু করেন। বর্তমানে Clarivate Analytics প্রতি বছর Journal Citation Reports (JCR)-এ ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর প্রকাশ করে।
ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করা হয় গত দুই বছরে উক্ত জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলোর মোট সাইটেশন সংখ্যা এবং একই সময়কালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মোট সংখ্যার অনুপাত হিসাব করে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র research articles এবং review articles বিবেচনায় নেওয়া হয়।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো জার্নালে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে প্রকাশিত সমস্ত রিসার্চ পেপারের মোট সাইটেশন সংখ্যা ৮৫০ এবং ওই দুই বছরের মধ্যে প্রকাশিত মোট রিসার্চ পেপারের সংখ্যা ১১৫।
তাহলে ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর = (২০২৩ এবং ২০২৪ সালে প্রকাশিত রিসার্চ পেপারের মোট সাইটেশন সংখ্যা) / (২০২৩ এবং ২০২৪ সালে প্রকাশিত
মোট রিসার্চ পেপারের সংখ্যা)
= ৮৫০/১১৫ = ৭.৩৯
অর্থাৎ, উক্ত জার্নালের ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ৭.৩৯।
সাইটস্কোর (CiteScore)
সাইটস্কোর তুলনামূলকভাবে নতুন একটি সূচক, যা ২০১৬ সালে Elsevier চালু করে। এটি Scopus ডাটাবেস থেকে তথ্য নিয়ে হিসাব করা হয়। ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টরের তুলনায় সাইটস্কোর নির্ণয়ে আরও বিস্তৃত ধরনের প্রকাশনা বিবেচনায় নেওয়া হয়, যেমন গবেষণাপত্র, রিভিউ আর্টিকেল, কনফারেন্স পেপার, বইয়ের অধ্যায়, ডাটা পেপার ইত্যাদি।
সাইটস্কোর নির্ধারণ করা হয় সর্বশেষ তিন বছরে কোনো জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মোট সাইটেশন সংখ্যা এবং একই সময়ে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মোট সংখ্যার অনুপাত হিসাব করে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো জার্নালে ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে প্রকাশিত পেপারের মোট সাইটেশন সংখ্যা হয় ১০৭০ এবং ওই তিন বছরে প্রকাশিত মোট পেপারের সংখ্যা হয় ১৫৫, তাহলে সাইটস্কোর হবে:
সাইটস্কোর = ১০৭০ / ১৫৫ = ৬.৯০
অর্থাৎ, উক্ত জার্নালের সাইটস্কোর হলো ৬.৯০।