আমেরিকায় কম GPA নিয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি: কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টার্গেট করবেন?

আমেরিকায় কম GPA নিয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি: কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টার্গেট করবেন?

ভালো GPA থাকা অবশ্যই একটি প্লাস পয়েন্ট, কিন্তু GPA কম হলেই যে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন শেষ, তা কিন্তু নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র GPA-এর ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয় না, বরং একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক প্রোফাইল (holistic review) বিবেচনা করে।

১. সাউদার্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার ইউনিভার্সিটি (Southern New Hampshire University): GPA: মাস্টার্সের জন্য 2.75 GPA থাকলে পূর্ণাঙ্গ ভর্তি (full acceptance) পাওয়া যায়। তবে 2.0 GPA-তেও শর্ত সাপেক্ষে ভর্তি (provisional acceptance) হওয়ার সুযোগ আছে।

কেন টার্গেট করবেন: এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার অনলাইন এবং ফ্লেক্সিবল প্রোগ্রামের জন্য পরিচিত। এখানে নানা ধরনের মাস্টার্স প্রোগ্রাম আছে, যেমন: এডুকেশন, ফাইন্যান্স এবং আইটি।

২. ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেস (California State University, Los Angeles): GPA: মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম 2.5 GPA প্রয়োজন।

কেন টার্গেট করবেন: ক্যালিফোর্নিয়ার এই পাবলিক ইউনিভার্সিটিটি বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিয়ে থাকে, এমনকি যাদের GPA কিছুটা কম।

৩. লিবার্টি ইউনিভার্সিটি (Liberty University): GPA: বেশিরভাগ মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য 2.5 থেকে 3.0 GPA-এর প্রয়োজন হয়।

কেন টার্গেট করবেন: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম রয়েছে এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতার হারও বেশ ভালো।

৪. শিকাগো স্টেট ইউনিভার্সিটি (Chicago State University): GPA: পূর্ণ ভর্তির জন্য 3.0 GPA প্রয়োজন হলেও, 2.75 GPA-তে শর্ত সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ আছে।

কেন টার্গেট করবেন: এটি শিকাগোর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে তুলনামূলক কম GPA-তেও সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।

৫. টেক্সাস ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি (Texas Wesleyan University): GPA: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ন্যূনতম 2.5 GPA প্রয়োজন।

কেন টার্গেট করবেন: এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যা কম GPA-তেও শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করে এবং তাদের সামগ্রিক প্রোফাইলের ওপর গুরুত্ব দেয়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: শুধু GPA-ই সব নয় GPA কম হলেও আপনার অ্যাপ্লিকেশনের অন্যান্য অংশগুলো যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে আপনার ভর্তির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো:

Statement of Purpose (SOP): একটি শক্তিশালী SOP-তে আপনি ব্যাখ্যা করতে পারেন কেন আপনার GPA কম ছিল (যেমন: পারিবারিক সমস্যা বা অসুস্থতা) এবং কীভাবে আপনি সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে গেছেন।

Letters of Recommendation (LOR): আপনার শিক্ষক বা সুপারভাইজারদের কাছ থেকে এমন সুপারিশপত্র নিন, যেখানে আপনার মেধা, গবেষণার আগ্রহ এবং কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

GRE/GMAT স্কোর: ভালো GRE বা GMAT স্কোর আপনার একাডেমিক দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে এবং GPA-এর ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।

কাজের অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনা: যদি আপনার গবেষণার অভিজ্ঞতা বা কোনো পাবলিকেশন থাকে, তা আপনার প্রোফাইলকে অনেক শক্তিশালী করে তুলবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ভিন্ন হয়। তাই, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চান, তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা (admission requirements) ভালোভাবে দেখে নিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post