দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া (বাংলাদেশ)

দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া (বাংলাদেশ)

জমি বা সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরের জন্য দলিল রেজিস্ট্রেশন একটি বাধ্যতামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। নিচে ধাপে ধাপে দলিল রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম দেওয়া হলো:

ধাপ ১: দলিল প্রস্তুত করা

দলিল লেখক বা আইনজীবীর মাধ্যমে নির্ধারিত ফরম্যাটে দলিল খসড়া তৈরি করুন।

দলিলে সম্পত্তির বিবরণ, দাগ-খতিয়ান, ক্রেতা ও বিক্রেতার নাম, মূল্য ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।

ধাপ ২: স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ

বিক্রয়মূল্যের উপর নির্ধারিত হারে স্ট্যাম্প শুল্ক দিতে হয়।

বর্তমানে (ঢাকাসহ বেশিরভাগ এলাকায়) স্ট্যাম্প ডিউটি ৩%–৫% পর্যন্ত হতে পারে।

ধাপ ৩: রেজিস্ট্রার অফিসে জমা

নির্ধারিত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল জমা দিন।

সঙ্গে নিতে হবে:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্ট
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (ক্রেতা ও বিক্রেতার)
  • টিন সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য)
  • খতিয়ান ও নামজারি কপি (সাপোর্টিং ডকুমেন্ট হিসেবে)
  • পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (যদি অন্য কেউ প্রক্রিয়া করে)

ধাপ ৪: সাক্ষর ও বায়োমেট্রিক

ক্রেতা ও বিক্রেতাকে অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিলে সাক্ষর ও আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) দিতে হয়।

রেজিস্ট্রি অফিসার সেসব যাচাই করেন।

ধাপ ৫: রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান

বিক্রয়মূল্য অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি (সাধারণত ২%) দিতে হয়।

ধাপ ৬: রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন

যাবতীয় যাচাইয়ের পর রেজিস্ট্রি অফিসার দলিল রেজিস্ট্রেশন করেন।

দলিলে রেজিস্ট্রেশনের নম্বর, তারিখ ও অফিসের সিল যুক্ত হয়।

ধাপ ৭: রেজিস্টার্ড দলিল গ্রহণ

সাধারণত ৭–১০ কার্যদিবস পরে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে রেজিস্টার্ড দলিল সংগ্রহ করতে হয়।

অতিরিক্ত টিপস:

  • বিশ্বাসযোগ্য দলিল লেখকের সহায়তা নিন।
  • পূর্বের মালিকানা যাচাই করে নিন (দাগ, খতিয়ান, নামজারি পরীক্ষা করুন)।
  • জাল দলিল ও ভুয়া দলিল লেখকদের থেকে সতর্ক থাকুন। 

إرسال تعليق

أحدث أقدم