অর্গাজম আসলে কী?

অর্গাজম আসলে কী?

অনেকেই মনে করেন অর্গাজম মানেই শুধু বীর্যপাত।

বাস্তবে এটি পুরো শরীরের এক ধরনের তীব্র কম্পন ও আনন্দের বিস্ফোরণ।

অর্গাজমের সময় মস্তিষ্ক থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক প্রশান্তি ও সুখ তৈরি করে।

যৌন শক্তি ধরে রাখার মূল উপায়:

সঠিক খাদ্যাভ্যাস – প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও পানি গ্রহণ করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম – রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, টেস্টোস্টেরন লেভেল ঠিক রাখে।

পর্যাপ্ত ঘুম – হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ – মানসিক চাপ যৌনশক্তিকে দুর্বল করে।

ক্ষতিকর অভ্যাস এড়িয়ে চলুন:

ধূমপান ও অ্যালকোহল রক্ত সঞ্চালন ও হরমোন ক্ষতিগ্রস্ত করে।

অতিরিক্ত রাত জাগা ও অলস জীবনযাপন যৌন শক্তি কমিয়ে দেয়।

নারী পুরুষের অর্গাজমের পার্থক্য

অর্গাজম মানে হলো যৌনমিলনের সবচেয়ে তীব্র ও আনন্দদায়ক অনুভূতি। তবে নারী ও পুরুষের অর্গাজম এক নয় দুজনের শরীর ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।

পুরুষের অর্গাজম

সাধারণত দ্রুত আসে, বিশেষ করে প্রবেশের সময়।

প্রায় সবসময় বীর্যপাতের সাথে যুক্ত থাকে।

একবার অর্গাজম হলে কিছু সময় (refractory period) লাগে আবার প্রস্তুত হতে। এই সময়টায় পুরুষের পক্ষে পুনরায় মিলনে যাওয়া সম্ভব হয় না।

নারীর অর্গাজম

অর্গাজম আসতে সময় বেশি লাগে।

সবসময় অর্গাজম হয় না, বিশেষত শুধু প্রবেশে।

একজন নারী এক মিলনে একাধিকবার অর্গাজম পেতে পারে।

মানসিক প্রস্তুতি, ভালোবাসা, ফোরপ্লে ও নিরাপত্তার অনুভূতি নারীর অর্গাজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মূল পার্থক্য

পুরুষের অর্গাজম শারীরিকভাবে তুলনামূলক সহজে আসে, নারীর ক্ষেত্রে মানসিক ও শারীরিক দুই দিকই জরুরি।

পুরুষ একবারে শেষ হয়ে যায়, নারীরা চাইলে ধারাবাহিকভাবে আনন্দ পেতে পারে।

শেষ কথা

অর্গাজমের অভিজ্ঞতা আলাদা হলেও, সুখী যৌনজীবনের জন্য দুজনের আনন্দ ও তৃপ্তিকে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

Post a Comment

Previous Post Next Post