Masters/PhD-এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের গাইডলাইন!

Masters/PhD-এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের গাইডলাইন!

মাস্টার্স বা পিএইচডি-এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করাটা একটা বিশাল কাজের মতো মনে হতে পারে। ঠিক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন, তা জানার জন্য আপনাকে একজন ডিটেকটিভের মতো কাজ করতে হবে। যত বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন, আপনার সিদ্ধান্ত তত বেশি সঠিক হবে।চলুন, একটি চেকলিস্টের মাধ্যমে দেখে নিই, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কী কী তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি।

১. অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল ও সামঞ্জস্যতা (Academic Fit)

এটি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আপনার গবেষণার আগ্রহের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের মিল আছে কি না, তা যাচাই করুন।

i) বিভাগ ও প্রোগ্রাম: আপনার পছন্দের বিভাগে কী কী প্রোগ্রাম (যেমন: MS, PhD) অফার করা হয়, তা দেখুন। কোর্সের কাঠামো এবং বিশেষায়িত ক্ষেত্র (specializations) আপনার আগ্রহের সঙ্গে মেলে কি না, তা যাচাই করুন।

ii) ফ্যাকাল্টি (Faculty): এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার গবেষণার আগ্রহের সঙ্গে কোন অধ্যাপকের কাজ মেলে, তা খুঁজে বের করুন। তাদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র (publications) পড়ুন এবং তাদের গবেষণার ক্ষেত্র (research interests) সম্পর্কে জানুন। অনেক ক্ষেত্রে, আপনার আবেদন জমা দেওয়ার আগেই একজন সম্ভাব্য সুপারভাইজরের সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ করাটা খুব জরুরি।

iii) র‍্যাঙ্কিং (Ranking): বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক র‍্যাঙ্কিং-এর চেয়ে আপনার নির্দিষ্ট বিভাগের র‍্যাঙ্কিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বিষয়ের জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুঁজে বের করুন।

২. আর্থিক সহায়তা ও খরচ (Funding and Cost)

পিএইচডি বা মাস্টার্স, দুটোর জন্যই আর্থিক বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

i) ফান্ডিংয়ের ধরন: পিএইচডি প্রোগ্রামে সাধারণত সম্পূর্ণ ফান্ডিং (full funding) পাওয়া যায়। মাস্টার্স প্রোগ্রামে ফান্ডিং পাওয়া কঠিন হলেও, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (TA) বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (RA)-এর সুযোগ থাকে।

ii) খরচ: বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি এবং আপনার পছন্দের শহরের জীবনযাত্রার খরচ (living cost) সম্পর্কে খোঁজ নিন। আপনার জোগাড় করা ফান্ডিং সেই খরচ মেটাতে যথেষ্ট কি না, তা যাচাই করুন।

৩. আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয়তা (Application Process and Requirements)

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে, তাই আপনাকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

i) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: কোন কোন ডকুমেন্ট (যেমন: SOP, LOR, CV, Transcripts) প্রয়োজন, তা জেনে নিন। LOR-এর জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, সেটির একটি তালিকাও তৈরি করে রাখুন।

ii) পরীক্ষার স্কোর: GRE, TOEFL বা IELTS-এর ন্যূনতম স্কোর কত, তা নিশ্চিত করুন।

iii) আবেদনের সময়সীমা (Deadline): প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সময়সীমা (application deadline) ভিন্ন হয়। তাই একটি ক্যালেন্ডারে সব সময়সীমা লিখে রাখুন, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তারিখ মিস না হয়।

৪. পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা (Environment and Facilities)

গবেষণার বাইরেও কিছু বিষয় আপনার জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে।

i) ল্যাব ও গবেষণা সুবিধা: ল্যাবরেটরি বা গবেষণাগারের সুযোগ-সুবিধা কেমন, তা জানুন। আপনার গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আছে কি না, তা যাচাই করুন।

ii) অবস্থান: বিশ্ববিদ্যালয়টি কোন শহরে অবস্থিত? সেখানকার আবহাওয়া, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ আপনার জন্য উপযুক্ত কি না, তা বিবেচনা করুন।

iii) শিক্ষার্থীদের সহায়তা: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ধরনের সহায়তা (যেমন: ভিসা প্রক্রিয়া, আবাসন) দেওয়া হয়, তা জেনে নিন।

iv) এই চেকলিস্ট অনুসরণ করে আপনি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এবং আপনার জন্য সেরাটি বেছে নিতে পারবেন। এটি আপনার পিএইচডি বা মাস্টার্সের যাত্রার প্রথম ধাপকে আরও সহজ করে তুলবে।

লিঙ্কঃ

https://drive.google.com/file/d/1BKjBsQAsEShXr74LeiqolA1bmjsRYSry/view?usp=sharing

লিখেছেন: Md. Rony Masud

লেখক ও গবেষক

বইয়ের নাম: গবেষণার অ আ ক খ (The ABCs of Research)

Post a Comment

Previous Post Next Post