আলহামদুলিল্লাহি ওয়াস্ সালামু ওয়া সালাতু আলা রাসূলিল্লাহ আম্মাবাদ।
ঘুমানোর পূর্বে সুন্নাত এবং আমল সমূহ নিম্নরূপঃ
ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত সূমহ
১) ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া । (বুখারী - ৬৩২০)।
২) ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা । (বুখারী - ৫৬২৩)।
৩) শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা : 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া আহইয়া' (হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মরি ও বাঁচি)। (বুখারী ৬৩১৪, মুসলিম ৭০৬২নং)।
৪) ওযু করে ডান কাতে শুয়ে (বুঃ ১১/১১২, মুঃ ৪/২০৮১)।
৫) নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে হলে শরীরের নাপাক স্থান ধুয়ে অযু করে নেয়া । (বুখারী - ২৮৮)।
৬) সাধারণত সতর খুলা অবস্হায় না শোয়া । (বুখারী - ২৭৬৯)।
৭) বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া । (তিরমিযী - ২৭৬৮)।
৮) ঘুমানোর সময় আগুনের বাতি জ্বালিয়ে না রাখা । (তিরমিযী - ১৮১৩)।
৯) দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া । (মুসলিম - ৫৯০১)।
১০) দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটা এবং "দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে - হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই" এভাবে তিনবার বলা । দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা । (মুসলিম - ৫৯০২)।
ঘুমানোর পূর্বের আমল সমূহ
১) ঘুমানোর দোয়া: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া আহইয়া') । (বুখারী - ৬৩১৪) অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মরি ও বাঁচি। (বুখারী ৬৩১৪, মুসলিম ৭০৬২)।
২)ঘুমানোর আগে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস একবার করে পড়ে দুই হাতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে দেহ পর্যন্ত যত দূর যায় বুলাবে।তারপর ডান হাত ও বাম হাত বুলাবে এবং এরুপ তিনবার করবে।
[বুখারী 5013, মুসলিম 1723 ।
৩। ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৩ বার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলে মীযানে এক হাজার সওয়াব সংযােজিত হয়। (সহীহ তারগীব ৬০৩ ,সহিহ মুসলিম, ৬৮০৮)।
৪) সূরা কাফিরূন পাঠ করতে হয়, এতে শির্ক থেকে সম্পর্কহীনতা বর্তমান। (সহীহ তারগীব ৬০২ নং)।
৫। কুরআনের সবচেয়ে বড় মর্যাদাপূর্ণ আয়াত 'আয়াতুল কুরসী' । যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় ইহা পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।(বুখারী হা/২৩১১)। শয়ন করে ‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে আল্লাহর তরফ থেকে এক রক্ষী নিযুক্ত হয়ে যায় এবং শয়তান ঐ পাঠকারীর নিকটবর্তী হতে পারে না। (বুঃ ৪/৪৮৭)।
৬।যে ব্যক্তি রাতে 'সূরা বাকারা'র শেষ ২ টি আয়াত পাঠ করবে , তার জন্য সে দুটি যথেষ্ট হবে । সে রাতে অপ্রীতিকর জিনিসের মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে বা তাহাজ্জুদের ছালাত থেকে যথেষ্ট হবে । (রিয়াযুসস্বলেহীন হা/১০২৪ , বুখারী হা/৪০০৮)। সূরা বাক্বারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করলে সকল প্রকার নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট। (বুখারী ৯/৯৪, মুসলিম, ১৫৫৪)।
৭। 'সূরা মুলক' তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি পাঠক কে ক্ষমা করে দেওয়া হবে ।(দাউদ হা/১৪০০ , ইবনু মাজাহ হা/৩৭৮৬) ।
আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন ! আমীন !