হ্যালো বন্ধুরা! আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজ আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো, যা অনেকেই শেখান না — অথচ আপনার কোটি টাকা বাঁচাতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা আর্কিটেকচার বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন, অথবা বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এই তথ্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ।
FAR বা Floor Area Ratio — এটি জানা প্রতিটি প্রকৌশলী বা ভবন মালিকের জন্য অপরিহার্য।
অনেকেই শুধু বইয়ে FAR এর রেট দেখে রাখেন, কিন্তু আসলে কিভাবে হিসাব করতে হয়, তা জানেন না। এমনকি অনেক অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারও এই হিসাব কনফিডেন্টলি করতে পারেন না।
চলুন সরাসরি উদাহরণে যাই —
ধরা যাক, আপনার কাছে ৫ কাঠা জমি আছে এবং সেখানে ৮-১০ তলা বাড়ি করার ইচ্ছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী (যেমন রাজউক বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের বিধিমালা) ভবনের চারপাশে সেটব্যাক রাখতে হবে। তাই ইচ্ছা করলেই ১০ তলা করা যাবে না। FAR সঠিকভাবে না জেনে ডিজাইন করলে ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
FAR জানার সুবিধা:
- ভালো চাকরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়
- নিজের ভবন নিজেই হিসাব করতে পারবেন
FAR হিসাবের পদ্ধতি (একটি বাস্তব উদাহরণ):
জমির আকার: ৫ কাঠা
রাস্তার প্রস্থ: ২০ ফুট
অনুমোদিত FAR: ৩.৫
(দ্রষ্টব্য: ২০২২-২০৩৫ ড্যাপে FAR এবং রাস্তার প্রস্থের আপডেট আছে, এটা অন্য কোনোদিন বিশ্লেষণ করব, এখানে ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুসারে দেখানো হলো)
Step-by-Step হিসাব
Maximum Buildable Area (MBA):
= Land × FAR
= ৫ কাঠা × ৩.৫
= ৫ × ৭২০ sqft × ৩.৫
= ৩৬০০ × ৩.৫
= ১২,৬০০ sqft
Maximum Ground Coverage (MGC):
= Land × 62.5%
= ৫ × ৭২০ × ০.৬২৫
= ৩৬০০ × ০.৬২৫
= ২,২৫০ sqft
Number of Floors (NOF):
= MBA / MGC
= ১২,৬০০ / ২,২৫০
= ৫.৬ তলা
মোট তলা সংখ্যা:
= Ground Floor + ৫.৬
= ১ + ৫.৬
= ৬.৬ তলা (প্রায় ৬ তলা + চিলেকোঠা)
বিশেষ পরামর্শ:
যদিও এই হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৭ তলা দাঁড়ায়, ভূমিকম্প এবং ভবন স্থায়িত্বের কথা চিন্তা করে ৬ তলাই বেশি নিরাপদ।
মনে রাখবেন: FAR এর হিসাব জানা থাকলে নিজের ডিজাইনকে নিয়মের মধ্যে রাখতেও পারবেন, আবার কোটি টাকার ভুল বিনিয়োগ থেকেও রক্ষা পাবেন।