এমআরটি পাস (MRT Pass) এবং র‍্যাপিড পাস (Rapid Pass) - পার্থক্য ও সুবিধা

এমআরটি পাস (MRT Pass) এবং র‍্যাপিড পাস (Rapid Pass) - পার্থক্য ও সুবিধা

বাংলাদেশে মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য মূলত দু'টি স্মার্ট কার্ড প্রচলিত আছে: এমআরটি পাস (MRT Pass) এবং র‍্যাপিড পাস (Rapid Pass)। এদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য ও সুবিধা রয়েছে:

এমআরটি পাস (MRT Pass):

মেট্রোরেল-কেন্দ্রিক: এমআরটি পাস মূলত শুধুমাত্র মেট্রোরেলে (MRT-6) ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

১০% ডিসকাউন্ট: এই পাস ব্যবহার করে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করলে প্রতিটি ট্রিপে ভাড়ার উপর ১০% ছাড় পাওয়া যায়।

লাইন এড়ানো: বারবার টিকিট কেনার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় না, সরাসরি গেটে ট্যাপ করে প্রবেশ ও প্রস্থান করা যায়।

পুনরায় রিচার্জ: যেকোনো মেট্রোরেল স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (TVM) বা টিকিট কাউন্টার (TOM) থেকে সহজেই রিচার্জ করা যায়।

১০ বছরের মেয়াদ: এই পাসের মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত হয়।

ছবিযুক্ত পরিচয়: পাসটিতে ব্যবহারকারীর ছবি থাকে, যা সুরক্ষার জন্য সহায়ক।

র‍্যাপিড পাস (Rapid Pass):

একাধিক পরিবহনে ব্যবহারযোগ্যতা (ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা): র‍্যাপিড পাসের মূল সুবিধা হলো এটি শুধুমাত্র মেট্রোরেল নয়, বরং ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের অন্যান্য গণপরিবহন যেমন - বাস (বর্তমানে নির্দিষ্ট BRTC বাস), রেলওয়ে এবং ফেরি পরিষেবাতেও ব্যবহার করা যাবে। এটি একটি "কমন মোবিলিটি কার্ড" হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলে ডিসকাউন্ট: র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করেও মেট্রোরেলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১০% ছাড় পাওয়া যায়।

সহজ রিচার্জ: মেট্রোরেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার, টিকিট ভেন্ডিং মেশিন এবং নির্বাচিত ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের শাখা থেকে রিচার্জ করা যায়।

নগদবিহীন লেনদেন: কার্ড ট্যাপ করার সাথে সাথেই ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়, যা নগদ টাকা বহনের ঝামেলা দূর করে।

ট্রিপ হিস্টরি: এই কার্ডে আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য (যেমন - স্টেশন, ভাড়া) সংরক্ষিত থাকে।

নিরাপত্তা: এতে মালিকের ছবি এবং একটি অনন্য আইডি থাকে, কার্ড হারিয়ে গেলে ব্যবহারের ব্লক করা যায়।

মূল পার্থক্য ও সুবিধা সংক্ষেপে:

ব্যবহারের পরিধি: এমআরটি পাস মূলত মেট্রোরেলের জন্য, তবে র‍্যাপিড পাস বর্তমানে মেট্রোরেল ও কিছু বিআরটিসি বাসে ব্যবহার করা যায় এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক গণপরিবহনে ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে। এটি র‍্যাপিড পাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা।

প্রাপ্তিস্থান: এমআরটি পাস শুধুমাত্র মেট্রোরেল স্টেশন থেকে কেনা যায়। র‍্যাপিড পাস ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নির্বাচিত শাখা এবং নির্দিষ্ট মেট্রোরেল স্টেশনের বুথ থেকে পাওয়া যায়।

ভবিষ্যৎ বহুমুখী ব্যবহার: যারা শুধুমাত্র মেট্রোরেল নয়, ঢাকার অন্যান্য গণপরিবহনেও একটি কার্ড ব্যবহার করে যাতায়াত করতে চান, তাদের জন্য র‍্যাপিড পাস বেশি সুবিধাজনক।

সংক্ষেপে, আপনি যদি শুধু মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন, তাহলে এমআরটি পাস আপনার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি ভবিষ্যতে একটি একক কার্ড দিয়ে মেট্রোরেল সহ অন্যান্য গণপরিবহনেও যাতায়াতের সুবিধা পেতে চান, তাহলে র‍্যাপিড পাস আপনার জন্য বেশি উপকারী হবে। উভয় পাসই টিকিট কেনার লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়াতে এবং ভাড়ায় ছাড় পেতে সহায়তা করে।

إرسال تعليق

أحدث أقدم