জাপানে নতুন এসে প্রথম ১–২ সপ্তাহে কিছু জরুরি কাজ থাকে, যা সময়মতো না করলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে। নিচে ধাপে ধাপে সেগুলো তুলে ধরা হলো:
১. এয়ারপোর্টে নেমেই করণীয়
Residence Card (在留カード):
ইমিগ্রেশন থেকে হাতে পাবেন। কার্ডে থাকা তথ্য ভালোভাবে মিলিয়ে নিন। ভুল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জানান।
২. বাসায় উঠার পর (১৪ দিনের মধ্যে):
ঠিকানা রেজিস্ট্রেশন (住所登録):
নিজ এলাকার 市役所 (Shiyakusho / City Hall)-এ গিয়ে ঠিকানা রেজিস্টার করতে হবে।
National Health Insurance (国民健康保険):
একই সময় স্বাস্থ্যবীমার জন্য এনরোল করতে হয়।
৩. নিজের ハンコ (Hanko) / সিল তৈরি:
ব্যাংক একাউন্ট বা অনেক সরকারি কাগজপত্রে সিল লাগে।
আপনার নামের যেকোনো অংশ দিয়ে একটি হানকো বানিয়ে রাখুন।
৪. ব্যাংক একাউন্ট খোলা:
স্থানীয় একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলুন, যেমন:
ゆうちょ銀行 (JP Bank)
三菱UFJ銀行 (Mitsubishi UFJ)
三井住友銀行 (SMBC)
৫. মোবাইল সিম/ফোন কনট্রাক্ট নেওয়া:
শুরুতে Prepaid বা সস্তা SIM ব্যবহার সুবিধাজনক:
docomo, au, SoftBank, Rakuten, Y!mobile
৬. Suica বা PASMO কার্ড সংগ্রহ:
ট্রেন/বাসে যাতায়াতে ব্যবহার হয়
কনবিনি, ভেন্ডিং মেশিনেও পেমেন্ট করা যায়
৭. জরুরি অ্যাপস:
Google Translate – ভাষা সমস্যায় সহায়তা
NAVITIME / Google Maps – চলাফেরার জন্য
LINE – জাপানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ
Mynumber Portal – নিজের মাই নম্বর তথ্য দেখার জন্য
৮. পার্ট-টাইম কাজ করতে চাইলে:
資格外活動許可 (Shikakugai Katsudou Kyoka)
এয়ারপোর্ট বা ইমিগ্রেশনে এই পারমিশনের জন্য আবেদন করুন।
সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা/সপ্তাহ কাজ করা যাবে।
৯. স্কুলে রেজিস্ট্রেশন ও ডকুমেন্ট জমা:
স্কুল অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিন
ক্লাসের নিয়ম মেনে চলুন — এটেন্ডেন্স কম হলে ভিসা বাতিল হতে পারে
১০. পোস্ট অফিসের চিঠি চেক করা:
郵便局 থেকে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি আসতে পারে:
My Number Card
Health Insurance Card
Bank related documents ইত্যাদি
প্রথম ১–২ সপ্তাহে এই কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারলে পরবর্তীতে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে।