প্রশ্ন: মৃত্যুর পর কি স্ত্রী তার স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যান? মৃত্যুর পর একে অপরকে দেখা, স্পর্শ করা, গোসল দেওয়া, কাফন পরানো ইত্যাদির বিধান কী?
উত্তর:
আমাদের সমাজে এটি একটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা যে, স্বামী বা স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তারা একে অপরের জন্য হারাম হয়ে যান। এর ফলে অনেককেই দেখা যায় যে, মৃত স্বামীকে গোসল করানো বা কবরে নামানোর মতো চূড়ান্ত কাজে স্বামী বা স্ত্রীকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না।
মূলত এটি আবু হানিফা, সুফিয়ান সাওরি প্রমুখ সহ রায় পন্থীদের অভিমত। তাদের যুক্তি হল, স্বামী স্ত্রীকে এ কারণে গোসল দিতে পারবে না যে, মৃত্যুর মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। অর্থাৎ তারা এখন আর স্বামী-স্ত্রী নয়। কারণ স্বামী এখন চাইলে তার মৃত স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করতে পারবে এবং আরও চার জন নারীকে বিয়ে করার অধিকার লাভ করবে।
কিন্তু যুক্তি চেয়ে দলিল অগ্রগামী। বহু সংখ্যক দলিলের আলোকে প্রমাণিত হয় যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার পবিত্র সম্পর্ক মৃত্যুর কারণে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয় না বরং মৃত্যুর পরও স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরকে দেখা, স্পর্শ করা, গোসল করানোর বা কাফন পরানো ইত্যাদির বৈধতা বিদ্যমান থাকে।
বরং স্বামী বা স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একে অপরকে গোসল দেওয়ার জন্য অন্য সকলের চেয়ে বেশি হকদার। কারণ মৃত্যুর পরও স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য অন্যের চেয়ে বেশি আপন থাকেন। তাই তাঁদের মধ্যে পর্দার জটিলতা থাকে না এবং গভীর ভালোবাসার কারণে তাঁরা মৃত সঙ্গীর যত্নও সবচেয়ে ভালোভাবে নিতে পারেন।
তবে এই বৈধতা ইদ্দত (অপেক্ষা কাল)-এর সাথে শর্তযুক্ত।
এ মর্মে দলিল উল্লেখ পূর্বক আলেমদের ফতোয়া সহ বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা করা হল
১. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকী' কবরস্থান থেকে ফিরলেন। এসে তিনি আমাকে এমন অবস্থায় পেলেন যে, আমি মাথাব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলাম এবং আমি বলছিলাম, ওহ! কী প্রচণ্ড মাথা ব্যথা!
#তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: "বরং আমি, হে আয়েশা! হায়! আমারও মাথা!"
এরপর তিনি বললেন:
ما ضرَّكِ لَو مِتِّ قَبلي فقُمتُ علَيكِ فغسَّلتُكِ وَكفَّنتُكِ وصلَّيتُ عليكِ ودفنتُكِ
"যদি তুমি আমার আগে মারা যেতে তবে তাতে তোমার কী ক্ষতি হতো? আমিই তো তোমার দায়িত্ব নিতাম, তোমাকে গোসল করাতাম, কাফন দিতাম, তোমার জানাজার সালাত আদায় করতাম এবং তোমাকে দাফন করতাম।"
[সহিহ ইবনে মাজাহ: ১২০৬। এ হাদিসটিকে কিছু মুহাদ্দিস জইফ (দুর্বল) বললেও অধিক বিশুদ্ধ মতে তা সহিহ। ইমাম ইবনে হিব্বান, শাওকানি, আলবানি, শুয়াইব আরনাবুত প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এটিকে সহিহ/হাসান বলেছেন]
২. আসমা বিনতে উমাইস রা. দৃষ্টান্ত:
ইমাম মালিক রাহ. তাঁর মুয়াত্তা গ্রন্থে প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বকর রা. থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ عُمَيْسٍ امْرَأَةَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ غَسَّلَتْ أَبَا بَكْرٍ حِينَ تُوُفِّيَ، ثُمَّ خَرَجَتْ فَسَأَلَتْ مَنْ حَضَرَهَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ فَقَالَتْ: إِنَّ هَذَا يَوْمٌ شَدِيدُ الْبَرْدِ وَأَنَا صَائِمَةٌ فَهَلْ عَلَيَّ مِنْ غُسْلٍ قَالَوا: لَا.
“#আসমা বিনতে উমাইস রা. তাঁর স্বামী আবু বকর সিদ্দিক রা.-এর ইন্তেকালের পর তাঁকে গোসল করিয়েছিলেন। গোসল করানোর পর তিনি বাইরে এসে উপস্থিত মুহাজির সাহাবিদের বললেন, আমি রোজা অবস্থায় আছি এবং আজকের দিনটাও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আমার জন্য কি গোসল জরুরি? তাঁরা বললেন: "না।" [জানাইয/৪৬৬]
আল মুনতাকা আলা শারহিল মুওয়াত্তা গ্রন্থে এই হাদিস প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: “এটি প্রমাণ করে যে, স্ত্রীর জন্য স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে গোসল করানো বৈধ। কারণ এটি অনেক সাহাবির উপস্থিতিতে হয়েছিল। বিশেষত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নিজেই এই বিষয়ে অসিয়ত করে গিয়েছিলেন এবং কোনও সাহাবি এর বিরোধিতা করেননি। সুতরাং এটি ইজমা (সাহাবিদের ঐক্যমত্য) দ্বারা প্রমাণিত।”
৩. দারাকুতনি আসমা বিনতে উমাইস রা. থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ أَوْصَتْ أَنْ يُغَسِّلَهَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ
“ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর স্বামী আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে তাঁকে গোসল করানোর জন্য অসিয়ত করে গিয়েছিলেন।” [বুলুগুল মারাম পর্ব-৩, অধ্যায়: জানাজা, সনদ হাসান]
এতে প্রমাণিত হয় যে, স্বামী তার স্ত্রীকে গোসল দিতে পারবে। উপরোক্ত আসারের আলোকে জুমহুর তথা উলামায়ে কেরামের বৃহৎ অংশ যেমন: আহমদ, মালিক, শাফেঈ, ইসহাক, আতা এবং দাউদ এ মত ব্যক্ত করেছেন।
- শাওকানি তাঁর 'নায়লুল আওতার' গ্রন্থে বলেছেন,
ولم يقع من الصحابة إنكار على علي حينما غسل فاطمة، ولا على أسماء حينما غسلت أبا بكر فكان إجماع
"আর যখন আলি রা. ফাতিমা রা. কে গোসল করালেন, তখন সাহাবিদের পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি আসেনি। আর যখন আসমা আবু বকরকে গোসল করালেন তখনও (কোনও আপত্তি আসেনি)। সুতরাং এটি ছিল 'ইজমা' (সাহাবিদের ঐকমত্য)।”
৪. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: "যখন তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে গোসল দেওয়ার ইচ্ছা করলেন তখন তাঁরা বললেন: 'আল্লাহর কসম! আমরা জানি না যে আমরা কি আমাদের অন্যান্য মৃতদের মতো রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাপড় খুলে ফেলব, নাকি তাঁর কাপড় সহই তাঁকে গোসল দেব?'
যখন তাঁরা এই বিষয়ে মতভেদ করলেন তখন আল্লাহ তাঁদের উপর নিদ্রা চাপিয়ে দিলেন। ফলে উপস্থিত সকলের দাড়ি (থুতনি) তাদের বুকের উপর এল (অর্থাৎ তাঁরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলেন)।
এরপর ঘরের এক পাশ থেকে কে যেন তাঁদেরকে বললেন (কে এ কথা বলল তাঁরা তাকে চিনতে পারেননি) : “তোমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে তাঁর কাপড় সহই গোসল দাও।”
তখন তাঁরা উঠে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে গেলেন এবং তাঁর গায়ে তাঁর জামা থাকা অবস্থাতেই তাঁকে গোসল দিলেন। তাঁরা জামার উপর দিয়ে পানি ঢালছিলেন এবং তাঁদের হাত ব্যবহার না করে জামার উপর দিয়েই তাঁকে মর্দন করছিলেন।
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলতেন:
لو استَقبلتُ من أمري ما استدبرتُ ، ما غسَلَهُ إلَّا نساؤُهُ
“যদি আমি আমার ভবিষ্যতের বিষয়টি আগে জানতাম যা পরে জেনেছি তাহলে তাঁর স্ত্রীগণ ব্যতীত আর কেউ তাঁকে গোসল করাতেন না।” [সহিহ ইবনে মাজাহ, হা/ ১১৯৬ ও সহিহ আবু দাউদ, হা/৩১৪১]
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)-এর এ কথাটি প্রমাণ করে যে, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে গোসল করানোর সবচেয়ে বেশি অধিকার ছিল তাঁর স্ত্রীগণের। যদিও অন্য পুরুষ সাহাবিগণও এই মহৎ কাজটি করেছিলেন তবুও স্ত্রীদের অধিকারকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন।
বিজ্ঞ ফকিগগণের ফতওয়া:
১. বিশিষ্ট ফকিহ ইবনে কুদামাহ তাঁর 'আল-মুগনি' (২/৩৯০) গ্রন্থে বলেন:
قَالَ ابْنُ الْمُنْذِرِ: أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الْمَرْأَةَ تَغْسِلُ زَوْجَهَا إذَا مَاتَ. قَالَتْ عَائِشَةُ: لَوْ اسْتَقْبَلْنَا مِنْ أَمْرِنَا مَا اسْتَدْبَرْنَا مَا غَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إلَّا نِسَاؤُهُ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَأَوْصَى أَبُو بَكْرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أَنْ تَغْسِلَهُ امْرَأَتُهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَكَانَتْ صَائِمَةً، فَعَزَمَ عَلَيْهَا أَنْ تُفْطِرَ، فَلَمَّا فَرَغَتْ مِنْ غُسْلِهِ ذَكَرَتْ يَمِينَهُ، فَقَالَتْ: لَا أَتْبَعُهُ الْيَوْمَ حِنْثًا. فَدَعَتْ بِمَاءٍ فَشَرِبَتْ. وَغَسَلَ أَبَا مُوسَى امْرَأَتُهُ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَوْصَى جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ أَنْ تَغْسِلَهُ امْرَأَتُهُ. قَالَ أَحْمَدُ لَيْسَ فِيهِ اخْتِلَافٌ بَيْنَ النَّاسِ. انْتَهَى"
“ইবনুল মুনযির বলেছেন: 'উলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, স্ত্রী মারা গেলে তাঁর স্বামী তাঁকে গোসল করাতে পারেন।
আয়েশা বলেছেন: 'যদি আমরা আমাদের ভবিষ্যতের বিষয়টি আগে জানতাম, যা আমরা পরে জানতে পেরেছি, তাহলে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে তাঁর স্ত্রীগণ ব্যতীত আর কেউ গোসল করাতেন না।' এটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।
আর আবু বকর অসিয়ত করে গিয়েছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস যেন তাঁকে গোসল করান। আসমা তখন রোজা রেখেছিলেন। আবু বকর রা. (মৃত্যুর আগে) দৃঢ়ভাবে চেয়েছিলেন যে, আসমা যেন রোজা ভেঙে ফেলেন। যখন আসমা তাঁকে গোসল করানো শেষ করলেন তখন তিনি আবু বকর রা. এর কসমের কথা স্মরণ করলেন এবং বললেন: 'আজ আমি তাঁর সাথে কসম ভঙ্গ যুক্ত করব না।' (অর্থাৎ, রোজা ভাঙার কসম পূর্ণ করার জন্য) তিনি পানি আনালেন এবং পান করলেন।
এছাড়াও আবু মুসা-কেও তাঁর স্ত্রী উম্মে আব্দুল্লাহ গোসল করিয়েছিলেন এবং জাবির ইবনে যায়েদও অসিয়ত করে গিয়েছিলেন যেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে গোসল করান।
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল বলেছেন: 'এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই।”
২. সৌদি আরবের সাবেক প্রধান মুফতি আল্লামা বিন বায রাহ. বলেন,
قد دلَّت الأدلة الشرعية على أنه لا حرج على الزوجة أن تغسل زوجها وأن تنظر إليه، ولا حرج عليه أن يغسلها وينظر إليها، وقد غسلت أسماء بنت عميس زوجها أبا بكر الصديق رضي الله عنهما، وأوصت فاطمة أن يغسلها علي رضي الله عنهما، والله ولي التوفيق.
"শরিয়তের দলিল প্রমাণাদি এটাই নির্দেশ করে যে, স্ত্রীর জন্য তার মৃত স্বামীকে গোসল করানো ও তাকে দেখা বৈধ। একইভাবে স্বামীর জন্যও তার মৃত স্ত্রীকে গোসল করানো এবং তাকে দেখা বৈধ। এতে কোনও সমস্যা বা বাধা নেই।
এ বিষয়ে একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে:
১. আসমা বিনতে উমাইস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) তাঁর স্বামী আবু বকর আস সিদ্দিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে গোসল করিয়েছিলেন।
২. ফাতেমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর স্বামী আলি (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে তাঁকে গোসল করানোর জন্য ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন।
আল্লাহ তৌফিক দান কারী।"
[উৎস: শাইখ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ.-এর ফতোয়া ও প্রবন্ধ সমূহের সংকলন, ত্রয়োদশ খণ্ড]
মৃত স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক গোসল দেওয়ার বৈধতার বিশেষ শর্ত: ইদ্দত
মৃত স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক গোসল দেওয়ার বৈধতা বিশেষ একটি শর্তের সাথে সম্পর্কিত, আর তা হল ইদ্দত (অপেক্ষা কাল) অর্থাৎ এই বৈধতা তখনই প্রযোজ্য যখন স্ত্রী ইদ্দত (অপেক্ষা কাল) অবস্থায় থাকেন। ইদ্দত হল, স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট অপেক্ষার সময় (সাধারণত ৪ মাস ১০ দিন বা গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া। কিন্তু যদি ইদ্দত শেষ হয়ে যায়, তবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক চূড়ান্তভাবে ছিন্ন হয়ে যায়।
শাইখ ইবনে উসাইমিন রাহ. বলেন, "স্বামী মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর যদি স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে তাঁকে আর গোসল করানো বৈধ নয়। কারণ তিনি এখন তাঁর স্ত্রী নন।"
[শাইখ ইবনে উসাইমিনের ১০০টি ফায়দা (উপকারী বিষয়) সংক্রান্ত ক্যাসেট থেকে] [সূত্র: Islamqa]
মোটকথা, মৃত্যুর পরও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয় না (ইদ্দত চলাকালীন)। তাই স্বামী তার মৃত স্ত্রীকে এবং স্ত্রী তার মৃত স্বামীকে প্রয়োজনে স্পর্শ করতে পারেন, দেখতে পারেন, গোসল ও কাফন পরাতে পারেন। ইসলামি শরিয়তে এতে কোনও বাধা নেই। আল্লাহু আলাম।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশন, সৌদি আরব