যেসব ভুলের কারণে বিয়ের পর সম্পর্ক ফিকে হয়ে যাচ্ছে

যেসব ভুলের কারণে বিয়ের পর সম্পর্ক ফিকে হয়ে যাচ্ছে

নিজের পছন্দে হোক কিংবা পরিবারের পছন্দে, বিয়ের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই সম্পর্কে শুরুর সেই টান টা আর থাকেনা। তৈরি হয় একটা দূরত্ব। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর পেছনের কিছু কারণ উল্লেখ কারছি। আপনি নতুন বিবাহিত হলে এই ভুলগুলো কখনও শুরু হতে দিবেন না। আর শুরু হয়ে গেলে আজই সমাধানের উদ্যোগ নিবেন:- 

১। পার্টনারের প্রতি সরাসরি ভালোবাসা প্রকাশ না করা:  অনেকেই ভাবে এর প্রয়োজনীয়তা নেই, সে এমনিই বুঝবে। আবার অনেকে ভাবে, ভালোবাসা প্রকাশ করলে নিজের মূল্য কমে যাবে। দুইটি চিন্তাই মারাত্বক ভুল। 

২। ছোট ছোট অর্থহীন, অপ্রয়োজনীয় কথা বলার অভ্যেস না করা:  যেমন- একজন গুনগুন করে কিছু গাইলে বা বললে অপর পার্টনারও গুন গুন করে রিপ্লাই দেয়া, বা অর্থহীন কোনো শব্দ করে শুধুমাত্র নিজের উপস্থিতি বা এটেনশন জানান দেয়া।

অনেকেই থাকে যারা খুব সিরিয়াস মেন্টালিটির। তারা অর্থহীন কথা পছন্দ করেনা। কিন্তু এই ছোট ছোট অর্থহীন কথাই সম্পর্ক কে দৃঢ় রাখে। কারণ, দুইটা মানুষের প্রয়োজনীয় কথা খুব বেশি থাকেনা। বাকিটা সময় এই শুনতে অপ্রয়োজনীয় কথাগুলোই নিজেদের মধ্যে টান ধরে রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে। 

৩। ছোটখাটো মজার কাজ কিংবা খুনসুটি কে বাচ্চা বয়সের কাজ মনে করা: যেমন- একে অপরকে কাতুকুতু দেয়া, গুঁতানো, জ্বালানো ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, মানুষের বয়স শারিরীক নিয়মেই বাড়লেও সম্পর্কের বয়স নিজেদের দোষেই বাড়ে। চাইলে এবং চেষ্টা করলে জীবনের শেষ বয়স পর্যন্ত সম্পর্ক কে নবজাতকেত মতো কোমল আর সুন্দর রাখা সম্ভব। যেটার উপর নিজের নিয়ন্ত্রন আছে তার বয়স কেন বাড়তে দিবেন? 

৪। পার্টনারের ছোটখাটো পছন্দ অপছন্দের, কিংবা প্রয়োজনের খোঁজ না রাখা: ব্যস্ততার মধ্যে হয়তো বেশি একটা সময় পাওয়া যায়না। তবুও খুব ছোট্ট খাটো পছন্দের খেয়াল চাইলেই রাখা যায়। 

৫। পার্টনারের প্রচেষ্টার দিকে খেয়াল না করা: পার্টনারকে খুশি করার জন্য আরেকজন কোনো একটা কাজ করলেও অনেক পার্টনার সেটাকে মূল্য দেয়না। ফলে এই প্রচেষ্টা গুলোর আগ্রহ কমতে কমতে সম্পর্কটাই ফিকে হয়ে আসে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post