লবণ কম খাওয়ার ভুলেই শরীরে হচ্ছে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ও কিডনির ক্ষতি!
আমরা সবাই শুনেছি—লবণ কম খাওয়া ভালো।
কিন্তু জানেন কি, “কম” লবণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে?
হ্যাঁ, অতিরিক্ত লবণ যেমন ক্ষতি করে, তেমনি কম লবণও শরীরে বিপদ ডেকে আনে।
লবণে আছে সোডিয়াম, যা শরীরের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে।
এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং নার্ভ সিগন্যাল ঠিক রাখে।
যখন আপনি দীর্ঘদিন ধরে খুব কম লবণ খান,
তখন শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি হয়, যাকে বলে Hyponatremia।
এ অবস্থায় মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, এমনকি অজ্ঞান হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরেকটি ভয়াবহ দিক হলো—কম লবণে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যায়।
ফলে রক্ত কিডনিতে পৌঁছাতে পারে না,
এবং কিডনি ফিল্টারেশন ক্ষমতা হারাতে থাকে।
যাদের ঘাম বেশি হয়, ব্যায়াম করেন বা গরমে কাজ করেন,
তাদের শরীর থেকে প্রচুর সোডিয়াম বের হয়ে যায়,
ফলে তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ডাক্তাররা বলেন—প্রতিদিন ৫ গ্রাম লবণ শরীরের জন্য আদর্শ।
এর কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে,
বিশেষ করে বৃদ্ধ বা হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে বিপদ বাড়ে।
অনেকে আবার একেবারে লবণ ছাড়াই ডায়েট করেন,
যাতে শরীরের হরমোন অ্যালডোস্টেরন বেড়ে যায়,
ফলে কিডনি থেকে পানি বেরিয়ে যায়, আর শরীর পানিশূন্য হয়।
তাহলে সঠিক উপায় কী?
👉 অতিরিক্ত লবণ নয়, তবে একদম বাদও নয়।
👉 দিনে মোটামুটি আধা চা চামচ যথেষ্ট।
👉 শরীর থেকে ঘাম গেলে বা গরমে থাকলে একটু বেশি লবণ যুক্ত পানি খাওয়া যেতে পারে।
👉 প্রসেসড খাবার কম খান, কারণ সেখানে লবণ লুকানো থাকে।
লবণই হলো শরীরের “ইলেকট্রিক সিস্টেমের ব্যাটারি”।
এই ভারসাম্য নষ্ট হলেই শরীর ক্লান্ত, দুর্বল ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
এখন বলুন, আপনি কি প্রতিদিন একদম লবণ ছাড়াই খাচ্ছেন?
কমেন
লবন কম খেলেও বিপদ হতে পারে!