জরায়ুর ভেতরে বা দেয়ালে অস্বাভাবিকভাবে মাংসপিণ্ডের মতো গুটি তৈরি হলে তাকে ফাইব্রয়েড বলে। এটা সাধারণত ক্যান্সার নয়, তবে অনেক সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা, চাপ বা গর্ভধারণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
উপকারী খাবার:
👉 সবুজ শাকসবজি (পালং, লালশাক, Kale, ব্রকোলি, বাঁধাকপি) → হরমোন ব্যালান্স রাখে, ফাইব্রয়েড বাড়তে বাধা দেয়।
👉 ফলমূল (কমলা, লেবু, আপেল, আঙুর, ডালিম, বেরি জাতীয় ফল) → অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, রক্তস্বল্পতা কমায়।
👉 ডাল ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার (মসুর, ছোলা, ওটস, ব্রাউন রাইস) → শরীরের অতিরিক্ত হরমোন কমাতে সাহায্য করে।
👉 মাছ (স্যামন, সার্ডিন, টুনা) → ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রদাহ কমায়।
👉 ডিম (বিশেষত কুসুম) → ভিটামিন D ও আয়রন সরবরাহ করে।
👉 বাদাম ও বীজ (আখরোট, আমন্ড, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড, সূর্যমুখী বীজ) → হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।নোমান
👉 অলিভ অয়েল / নারকেল তেল → অস্বাস্থ্যকর তেলের বদলে ব্যবহার করুন, প্রদাহ কমায়।
ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদান:
👉 গ্রিন টি (EGCG সমৃদ্ধ) → গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইব্রয়েডের সাইজ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
👉 হলুদ (Curcumin) → প্রদাহরোধী, হরমোন ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
👉 আদা ও রসুন → রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, শরীরের প্রদাহ কমায়।
👉 ড্যান্ডেলিয়ন রুট (Dandelion tea) → লিভার ডিটক্সে সাহায্য করে, হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।
👉 মাকা রুট (Maca root) → হরমোন ব্যালান্সে সহায়ক (পরিমিত ব্যবহার জরুরি)।
👉 তুলসী পাতা / পুদিনা → শরীর ঠান্ডা রাখে, হরমোন ভারসাম্য সমর্থন করে।
জীবনধারা টিপস:
👉 ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন → স্থূলতা এস্ট্রোজেন বাড়ায়, যা ফাইব্রয়েড বাড়াতে পারে।
👉 স্ট্রেস ম্যানেজ করুন → যোগ, মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম।
👉 প্রসেসড খাবার, লাল মাংস, অতিরিক্ত দুধজাত খাবার কমান → এগুলো ফাইব্রয়েড বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
👉 চিনি ও সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন → ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হরমোনকে প্রভাবিত করে।
👉 রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করুন → ফাইব্রয়েডে রক্তক্ষয় বেশি হয়, তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (ডালিম, কলিজা, পালং শাক) খাওয়া দরকার।
👉 পানি বেশি খান → টক্সিন বের করতে সহায়তা করে।