আমাদের মেডিকেলে প্রতিদিন এরকম অনেক পেশেন্ট আসেন, যারা শারীরিকভাবে নিজেকে আরো দৃঢ় এবং পুরুষত্ব ক্ষমতা আরও বেশি করতে চান। প্রাথমিকভাবে তারা এসব কথা শেয়ার করতে লজ্জা পেলেও পরবর্তীতে যখন শেয়ার করেন তখন তাদের মুখে একটা হীনভাব থাকে।
শুরুতেই বলবো আপনার সমস্যা শোনার জন্যই আমরা থাকি। তাই আপনার যেকোনো সমস্যা মন খুলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আপনার সমস্যা যদি আমরা না জানতে পারি -তাহলে সমাধান করবো কি করে?
এবার আসি ঘরোয়া ভাবেই কিছু খাবার খেয়ে এবং জীবন ব্যবস্থার সামান্য পরিবর্তন করেই কিকরে শারীরিক ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব।
অনেকেই জানেন না, কিছু সাধারণ খাবার নিয়মিত খাওয়ায় আপনার শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব। আসলে, টেস্টোস্টেরন শুধু পুরুষত্বের হরমোন নয়, এটা শরীরের শক্তি, মুড এবং পেশী গঠনের জন্যও খুব দরকার। তো চলুন দেখে নেই কোন কোন খাবার আপনার টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য কিছু উপকারী খাবার:
1. ডিমের কুসুম
-ভিটামিন ডি এবং কোলেস্টেরল থাকে যা টেস্টোস্টেরন তৈরিতে সাহায্য করে।
2. মাছ ( ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছ সমূহ )
-ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
3. বাদাম (আখরোট, কাজু, almond)
-জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ও ভালো ফ্যাট থাকে, যা হরমোন বাড়ায়।
4. মাংস (গরু, মুরগি)
-প্রোটিন ও জিঙ্কের ভালো উৎস, যা টেস্টোস্টেরন প্রোডাকশনে সাহায্য করে।
5. তুলসী, রসুন ও আদা
-সেরোটিোনিন ও ন্যাচারাল এনজাইম বাড়িয়ে টেস্টোস্টেরন হরমোন উন্নত করে।
6. আলু, বীট ও শসা
-ভিটামিন ও মিনারেল দিয়ে শরীরের সার্বিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে।
7. গ্রিন শাকসবজি (স্পিনাচ, ব্রোকলি, কেল)
-ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
8. ডার্ক চকলেট
-ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
9. জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার (শামুক, কাঁকড়া)
-জিঙ্ক টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের জন্য খুবই জরুরি।
কিছু extra কথা:
• প্রসেসড খাবার ও অতিরিক্ত চিনি এড়াতে হবে।
• নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম টেস্টোস্টেরন বাড়ায়।
• স্ট্রেস কমানো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বেশি স্ট্রেস এ হরমোন কমাতে পারে।