চুলের যত্ন নেওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নিজের চুলের ধরন বোঝা। আমরা অনেকেই না বুঝে এমন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, অয়েল বা মাস্ক ব্যবহার করি যেগুলো আমাদের হেয়ার টাইপের সাথে যায় না। ফলে যত টাকা খরচ করি না কেন, চুলে আসল পরিবর্তন আসে না।
তাই প্রথমেই জানতে হবে –
আমার চুল আসলে কোন ক্যাটাগরিতে পড়ে? Dry, Oily, Normal নাকি Combination?
১. Oily Hair (তেলতেলে চুল)
- ধোয়ার ১–২ দিনের মধ্যেই স্ক্যাল্প তেলতেলে হয়ে যায়।
- চুল সবসময় ভারী লাগে।
- Dust/ধুলোবালি সহজে আটকে যায়।
- খুশকি হওয়ার প্রবণতা বেশি।
কেয়ার টিপস:
- Mild বা Clarifying শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- গরম পানি এড়িয়ে চলুন।
- স্কাল্পে তেল বেশি ব্যবহার করবেন না।
২. Dry Hair (শুষ্ক চুল)
- চুল রুক্ষ, শক্ত আর ভেঙে যায়।
- উজ্জ্বলতা থাকে না।
- Combing করলে সহজে ভেঙে যায়।
- স্প্লিট এন্ডস হয় বেশি।
কেয়ার টিপস:
- Moisturizing শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- কন্ডিশনার অবশ্যই লাগান।
- সপ্তাহে অন্তত ১ বার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
- নারিকেল/অলিভ অয়েল দিয়ে স্ক্যাল্প মেসাজ করুন।
৩. Normal Hair (স্বাভাবিক চুল)
- চুল খুব তেলতেলে নয়, আবার শুষ্কও নয়।
- ধোয়ার পর কয়েকদিন ভালো থাকে।
- ভেঙে পড়া বা খুশকির প্রবণতা কম।
কেয়ার টিপস:
- Gentle শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- সপ্তাহে ১–২ বার হালকা তেল লাগান।
- কন্ডিশনার নিয়মিত ব্যবহার করুন।
৪. Combination Hair (মিশ্র ধরণের চুল)
- স্ক্যাল্প তেলতেলে কিন্তু চুলের ডগা শুষ্ক।
- Hair styling করলে ডগা সহজে ভেঙে যায়।
- চুল মাঝেমধ্যে অদ্ভুতভাবে ফ্রিজি হয়ে যায়।
কেয়ার টিপস:
- স্ক্যাল্পে হালকা ক্লিনজিং শ্যাম্পু, আর ডগায় Moisturizing কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- Hair serum/leave-in conditioner ব্যবহার করতে পারেন।
- Heat styling কমান।
কেন হেয়ার টাইপ জানা জরুরি?
✔ সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নিতে পারবেন।
✔ চুল পড়া, খুশকি বা ডগা ফাটার সমস্যা কমবে।
✔ যেকোনো ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার মাস্কের ফল দ্বিগুণ হবে।
✔ দীর্ঘমেয়াদে চুল থাকবে সুন্দর, হেলদি ও মজবুত।
টাস্ক: আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো করে নিজের চুল লক্ষ্য করুন। আপনার স্ক্যাল্প কি তেলতেলে? চুলের ডগা কি রুক্ষ? নাকি সব ঠিকঠাক?
নিজেকে চেনা মানেই হেয়ার কেয়ারের প্রথম জয়।