১) কোন দিন ব্লাকমেইলকারীর কোন দাবি দাওয়া মানবেন না, নেগোশিয়েট করবেন না। কারণ একবার ব্লাক মেইলারকে সে যা চায় তা দিয়ে দিলে সে আরো বেশি বেশি করে ফেভার চাইবে।
সেটা আপনি পুরুষ হন কিংবা নারী।
আপনাকে সারাজীবন আরো বেশি বেশি করে দিয়েই যেতে হবে। তারপর একসময় আপনার সিক্রেটস সব যখন ফাইনালি আউট হয়েই যাবে অবধারিত ভাবে, তখন নিজেকে একটা ইউজড টিস্যু পেপার মনে হবে।
২) আপনাকে ধরেই নিতে হবে, যে মুহূর্তে আপনাকে কোন সেনসিটিভ জিনিস হাতে রেখে কেউ একজন ব্লাক মেইল করতে চাচ্ছে, সেই জিনিস এক সময় না এক সময় পাবলিকের কাছে প্রকাশিত হয়ে যাবেই।
একারণে আপনাকে ধরেই নিতে হবে যে আপনার গোপন ব্যাপার আর গোপন থাকবে না বেশি দিন।
এটা ধরে নিয়েই আগাতে হবে।
৩) উপরের ২ কে ধ্রুব সত্য ধরে নিয়ে, আপনাকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে যে গোপন ব্যাপারটাকে আপনি সেনসিটিভ ভাবছেন, সেই ইস্যু আসলেই কতোটা সেন্সিটিভ। কার জন্যে সেন্সিটিভ ইত্যাদি।
দরকার হলে এক্সপার্ট কারো সাথে কথা বলতে পারেন। (আমার দরজা সব সময় খোলা, সিরিয়াসলি, আসতে পারেন)
আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যেটাকে খুব বেশি সেন্সিটিভ ভাবছেন, সেটা হয়তো আসলে ততোটা সেনসিটিভ না।
আর যদি হয়েও থাকে, উপরের ১ এবং ২ এর আলোকে আপনাকে বুঝতে হবে যে "যা হবার হয়ে গেছে, এখন জাস্ট সামনে আগানো ছাড়া আর কোন উপায় এমনিতেই নাই".
৪) উপরের ১-২-৩ যখন বুঝা শেষ, তখন আপনার কাছে থাকবে জাস্ট ২ টা অপশন।
প্রথম অপশন হচ্ছে নিজের আপন জনের কাছে গিয়ে ব্যাপারটা খুলে বলা, মাফ চাওয়া, তওবা করা ইত্যাদি।
তারপর নিজে থেকেই মানুষকে ব্যাপারটা জানিয়ে দেওয়া, নিজে থেকেই মাফ চেয়ে নেওয়া ইত্যাদি। এটা হচ্ছে অপশন ওয়ান এর অপশন এ।
আবার আপনি নিজের মানুষদের জানিয়ে দেবার পর, পাবলিকলি আর কিছু নাও বলতে পারেন। জাস্ট চেপে যান আপন জনদের কাছে ক্লিয়ার হবার পর পরই। সেটা হচ্ছে আপনার অপশন ওয়ান এর অপশন বি।
আর আপনার দ্বিতীয় এবং লাস্ট অপশন হচ্ছে পুরো ইস্যুতে ঘরে বাইরে সবার কাছে জাস্ট চুপ থাকা, ইগনোর করা। এটা অনেক কঠিন একটা অপশন, বাট ক্ষেত্র বিশেষে করা সম্ভব।
এই হলো ব্লাকমেইল এর শিকার হলে আপনার করনীয়।
এবার কিছু প্রাকটিক্যাল এডভাইস দেই।
ইয়াং মেয়েদের বলছি, কোনদিন এমন কোন পরিস্থিতিতে পড়লে সবার আগে মাকে বা বাবাকে বা ভাই বোনকে জানাবে। যার সাথে তোমার সেইফটি স্বচ্ছন্দ বেশি তাকে।
আর পুরুষদের বলছি, বিশেষ করে যারা ফেমাস, হ্যাডম ওয়ালা তাদেরকে।
মোস্ট পুরুষ ধরা খায় ফ্রি বিড়াল খেতে গিয়ে।
অনেক বেশি ইচ্ছা করলে পয়সা খরচ করবেন ভাই। তাহলে ঝামেলা এড়াতে পারবেন।
অবশ্যই বেস্ট হয় নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলে। বিশেষ করে আপনি যদি আসলেই ফেমাস হন, তাহলে একটু বেশি সচেতন থাকবেন।