নারীর মনের কথা: শারীরিক নাকি মানসিক চাহিদা?

নারীর মনের কথা: শারীরিক নাকি মানসিক চাহিদা?

একটা বয়সের পর নারীদের শারীরিক চাহিদা কমতে থাকে। তাদের চিন্তাভাবনা শরীরকেন্দ্রিক না হয়ে, মানসিক দিকটা বিবেচনা করে। এই বয়সে তারা চায়, গল্প করার মতো একটা বিশ্বস্ত মানুষ। সারাদিনের জমানো দুঃখ-কষ্ট, অনুভূতি অভিব্যক্তি সবটা উজার করে বলার মতো একজন বিশ্বস্ত মানুষ। শারীরিক চাহিদা এই বয়সে তাদের কাছে কোনো Matter ই করে না। তারা মূলত সঙ্গীর কাছ থেকে একান্ত কিছু মূহুর্ত চায়, তারা গল্প করতে চায়, প্রিয় মানুষটার সাথে সারাক্ষণ বকবক করতে চায়। কারণে– অকারণে অভিমান করতে চায়, প্রিয় মানুষটা অভিমান ভাঙ্গাবে বলে। 

তবে নারীদের শারীরিক চাহিদা কমার ক্ষেত্রে বয়সের থেকে পরিস্থিতি বেশি দায়ী! মানসিক অশান্তি, পারিবারিক কলহ, অভাব-অনটন, দুশ্চিন্তার কারণে অনেক সময় নারীরা তাদের অনুভূতি হারিয়ে ফেলে!

আর যখন তারা মানসিক অশান্তি থাকে, তখন কেবলই চায় গল্প করার মতো একটা মানুষ। প্রতিটা হাজব্যন্ডের উচিত এই সময়টাতে স্ত্রীকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া, মানসিক সাপোর্ট দেয়া। সম্ভব হলে স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। কেননা পুরুষ মানুষের শারীরিক চাহিদা অপূর্ণ থাকলে, সংসারে অশান্তি অনিবার্য! তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে; এই সময়ে স্ত্রীর মন যদি ভালো না থাকে তবে শারীরিক চাহিদা তার মনে কখনোই জাগবে না।

একজন পুরুষ মানুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই মানসিক শান্তি আসে, আর অন্যদিকে একজন নারীর মানসিক চাহিদা পূরণ হলেই শারীরিক চাহিদায় আগ্রহী হয়। এ ক্ষেত্রে পরস্পর পরস্পরকে বুঝতে হয়, পরস্পরের মনের অভিব্যক্তি বোঝার চেষ্টা করতে হয়। অযথা পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ না করে, পরস্পরের চাহিদা অনুযায়ী চললেই সংসারে শান্তি বিরাজ করে।

নারীরা সরাসরি মুখে কিছু বলে না, তবে তার পুরুষ সঙ্গীকে অবশ্যই তার মনের আকুলতা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। একজন নারী যখন মানসিক দিকে সাপোর্ট পাবে, মানসিক শান্তিটা তার মধ্যে বিরাজ করবে, ঠিক তখনই সে শারীরিক ভাবে প্রস্তুত। নতুবা মনে অশান্তি রেখে কোনো নারী কখনো সঙ্গীর ধারে কাছেও যেতে চায় না!

সংসারে একজন স্বামীর জন্য যেমন শারীরিক চাহিদা মিটানো জরুরী, ঠিক তেমনি একজন স্ত্রীর মানসিক চাহিদা মিটানো আরও বেশি জরুরী

Post a Comment

Previous Post Next Post