উচ্চশিক্ষার পথে বাধা দূর করুন – Application Fee Waiver

উচ্চশিক্ষার পথে বাধা দূর করুন – Application Fee Waiver

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার সময় অনেকেরই প্রথম যে সমস্যাটা সামনে আসে, তা হলো আবেদন ফি। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ ডলার লাগে। যদি আপনি ১০–১৫টা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চান, তাহলে সেই খরচ অনেক বড় অঙ্কে দাঁড়ায়। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী কেবল এই কারণে আবেদন কমিয়ে ফেলেন বা পিছিয়ে যান। কিন্তু সুখবর হলো—অনেক বিশ্ববিদ্যালয় Application Fee Waiver দেয়, অর্থাৎ আবেদন করার জন্য কোনো ফি লাগে না। এতে খরচ অনেকটা কমে আসে এবং আপনি আরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন।  

Application Fee Waiver আসলে কী?   

সহজভাবে বললে, এটি হলো আপনার আবেদন জমা দেওয়ার ফি মওকুফ করার সুযোগ। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি সবার জন্য এই সুযোগ রাখে। আবার অনেক জায়গায় আপনার আর্থিক অবস্থা যাচাই করে ফি মওকুফ করা হয়। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম, কনফারেন্স বা সামার স্কুলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষভাবে এই সুবিধা দিয়ে থাকে।  

মূলত তিন ধরনের ওয়াইভার বেশি দেখা যায়:  

(1) - স্বয়ংক্রিয় ওয়াইভার (Automatic Waiver): যেখানে কোনো শর্ত ছাড়াই আবেদন ফি নেওয়া হয় না।  

(2) - আর্থিক অবস্থা ভিত্তিক ওয়াইভার (Need-Based Waiver): যেমন হার্ভার্ড বা ইয়েলের মতো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ফি মওকুফ করে।  

(3) - প্রোগ্রাম নির্দিষ্ট ওয়াইভার (Program-Specific Waiver): নির্দিষ্ট কর্মশালা বা গবেষণা প্রোগ্রামে অংশ নিলে আবেদন ফি মওকুফ করা হয়।  

কীভাবে এই সুযোগ পাবেন?  

প্রথমেই আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে Graduate Admissions বা How to Apply অংশে খুঁজুন। সেখানে প্রায়ই Application Fee Waiver নামে আলাদা সেকশন থাকে। এরপর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করুন, প্রয়োজনে ইমেইলের মাধ্যমে অনুরোধও করতে পারেন। আর যদি কোনো তথ্য স্পষ্ট না হয়, তাহলে আগেভাগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিসের সাথে যোগাযোগ করুন।  আমার মতে, এই সুযোগ কাজে লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে আপনার খরচ কমে যাবে, একই সঙ্গে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।  

Post a Comment

Previous Post Next Post