কেন প্রেগন্যান্সির শুরুতেই আল্ট্রাসনোগ্রাম জরুরি?
ভাবুন তো… একজন মা ৫-৬ মাসে প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে এসে শুনলেন—
শিশুর হাত-পা নড়ছে
হার্টবিট আছে
নড়াচড়া করছে
কিন্তু… ❌ শিশুর মাথার খুলি গঠিত হয়নি, ব্রেইনই নেই!
সে মা তখন শুধু অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকেন… চোখ দিয়ে ঝরে পড়ে অশ্রু। 💔
সমস্যাটির নাম: Anencephaly
এটি একটি জন্মগত সমস্যা—Neural Tube Defect এর একটি রূপ।
গর্ভধারণের মাত্র ৪-৫ সপ্তাহে (২৮-৩২ দিনে) নিউরাল টিউব তৈরি হয়ে যায়।
যদি এটি বন্ধ না হয়, তখন শিশুর ব্রেইন ও মাথার খুলি তৈরি হয় না।
কারণসমূহঃ
- জেনেটিক সমস্যা
- গর্ভাবস্থার শুরুতে ফলিক এসিডের ঘাটতি
- কিছু সাইকিয়াট্রিক ওষুধ
- অপ্রয়োজনীয় ব্যথানাশক বা ওপিয়ড জাতীয় ওষুধ
ডায়াগনোসিস কিভাবে হয়?
- ১২-১৪ সপ্তাহেই আল্ট্রাসনোগ্রাম যথেষ্ট
- Serum Alpha-Fetoprotein (increased)
- MRI / Amniocentesis
চিকিৎসা আছে কি?
না, দুঃখজনকভাবে Anencephaly-এর কোনো চিকিৎসা নেই।
প্রতিরোধই একমাত্র পথ
প্রতিরোধযোগ্য কিভাবে?
- প্রতিদিন ফলিক এসিড (৪০০-৮০০ মাইক্রোগ্রাম) খাওয়া
- গর্ভধারণের প্রথম ২ মাসে অপ্রয়োজনীয় ব্যথানাশক ও সাইকিয়াট্রিক ওষুধ এড়িয়ে চলা
- নিয়মিত চেকআপ ও শুরুতেই একটি টাইমলি আল্ট্রাসনোগ্রাম
এই শিশুর ভবিষ্যৎ?
- অনেক সময় গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায়
- জন্মের পর ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহের মধ্যে মারা যায়
- কেউ বেঁচে থাকলেও থাকে অচেতন, অন্ধ ও বধির
- ১ বছরের মধ্যে ১০০% মৃত্যু হয়
কেন এই পোস্ট?
কারণ অনেক মা এখনো ভাবে—
- "আগে তো মানুষ ডাক্তার দেখাত না"
- "আমার সমস্যা নেই, কেন যাবো ডাক্তার?"
- "৬-৮ মাসে আল্ট্রা করলেই তো হবে"
কিন্তু সত্য হলো—প্রথম ৩ মাসের চেকআপ, ফলিক এসিড আর একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে। একটি মায়ের কান্না থামাতে পারে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সচেতনতা, জ্ঞান ও সহানুভূতির আলোয় আলোকিত করুন