এই নিরবতার পেছনে কারণগুলো কী এবং আপনি কীভাবে সেই বাধা কাটিয়ে উঠতে পারেন:
কেন প্রফেসররা সাড়া দেন না:
১. ইমেইল বন্যা (Email Overload):
প্রফেসররা প্রতিদিন ডজন থেকে শত শত ইমেইল পান—ছাত্র, জার্নাল, প্রশাসন, গ্রান্ট এজেন্সি ইত্যাদি থেকে।
এই কারণে, অচেনা বা অপরিচিত ইমেইলগুলো খুব সহজেই হারিয়ে যায়, স্প্যামে চলে যায়, অথবা গুরুত্বহীন বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়—বিশেষ করে যদি ইমেইলটি খুব জেনেরিক বা কপি-পেস্ট করা মনে হয়।
২. অর্থ না থাকলে সুযোগ নেই (No Money, No Position):
অনেক গবেষণা দল নতুন কাউকে নিতে চায় না যতক্ষণ না তাদের কাছে নতুন গ্রান্ট বা ফান্ডিং থাকে।
Postdoc-এর ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সত্যি, কারণ এতে খরচ বেশি হয়। যদি প্রফেসর কিছু অফার করতে না পারেন, তাহলে তারা উত্তর দেওয়ার আগ্রহ পান না।
৩. জেনেরিক বা কপি-পেস্ট ইমেইলের ব্যর্থতা:
যেসব ইমেইল অস্পষ্ট, কপি-পেস্ট মনে হয়, বা প্রফেসরের গবেষণার সঙ্গে সম্পর্কহীন, সেগুলো প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া হয়।
যদি আপনার ইমেইল দেখে মনে হয় আপনি তার সাম্প্রতিক গবেষণা পড়েননি, তাহলে সেটা গুরুত্ব পায় না।
৪. ইনস্টিটিউশনের নিয়ম:
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম আছে—আপনাকে আগে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হবে।
এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ইমেইলে খুব একটা সাড়া পাওয়া যায় না যতক্ষণ না আপনি শর্টলিস্টেড হন বা অভ্যন্তরীণভাবে সুপারিশ পান।
৫. সময়জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ (Timing is Everything):
নিয়োগ চক্রের বাইরে, যেমন সেমিস্টারের মাঝখানে বা বড় কনফারেন্সের আগে, পাঠানো ইমেইলগুলো প্রায়ই উপেক্ষিত হয়—even যদি উত্তর দেওয়ার ইচ্ছা থেকেও থাকে।