বাংলাদেশের অনেক ছাত্রছাত্রী যখন “Cyber Security” শব্দটা শোনে, তখন এক ধরনের ফ্যান্টাসি কাজ করে… মনে হয় হ্যাকার হবার পরে লাইফটা হবে একদম সিনেমার মতো – কালো মাস্ক, কালো গাড়ি, আনলিমিটেড ডলার, রাত জেগে রহস্যময় কিছু করা… 😎💻
কিন্তু সত্যটা একটু ভিন্ন।
এই সেক্টর নিঃসন্দেহে রঙিন, চ্যালেঞ্জিং এবং ইনকাম দিক থেকেও অনেক ভালো। তবে, জিততে হলে চাই জ্ঞান, স্কিল আর অসীম পরিশ্রম।
আসুন জেনে নেই ২টি মারাত্মক ভুল ধারণা যা অনেকেই করে:
ভুল ধারণা ১: AI আসলেও Cyber Security তে মানুষের প্রয়োজন কমবে না
এই কথা আংশিক সত্য, কিন্তু পুরোপুরি না। আজকের AI সিস্টেমগুলো অনেক শক্তিশালী — অ্যানালাইসিস, থ্রেট ডিটেকশন, অটোমেটেড পেন-টেস্ট, ফায়ারওয়াল কনফিগারেশন সবই এখন AI দিয়ে হচ্ছে।
তাই যেসব কাজ আগে মানুষ করতো, এখন AI তা দ্রুত, কম খরচে এবং নিখুঁতভাবে করছে।
Automatic Tool-based কাজগুলোতে মানুষ কম প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ছে।
তবে…
Creative Thinking, Threat Modeling, Advanced Exploit Research, Human-centered Incident Response – এসব AI করতে পারে না।
তাই সত্যিকারের স্কিল থাকলে, এই সেক্টর সব সময় তোমার জন্য জায়গা রাখবে।
ভুল ধারণা ২: Cyber Security তে ঢুকলেই টাকা আসবে
এটাও একটা ফ্যান্টাসি। সাইবার সিকিউরিটি অনেক বড় একটা জগত। এর মধ্যে কিছু কিছু সাব-ফিল্ডে (যেমনঃ Threat Intelligence, Red Team, Exploit Development, Military-grade Security, Advanced Forensics) ইনকাম সত্যিই অনেক।
কিন্তু সেই লেভেলে যেতে হলে দরকার —
✅ অনেক বছরের অভিজ্ঞতা
✅ Real স্কিল
✅ সেনসিটিভ প্রজেক্টে কাজ করার যোগ্যতা
✅ ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ক্লিন প্রোফাইল ( face value)
যারা ভাবেন, “Bachelor পড়তে পড়তেই লাখ টাকা ইনকাম করবো” — তাদের জন্য এটা কঠিন।
এইখানে কোয়ান্টিটি না, কোয়ালিটি চলে।
এটা লংটার্ম ইনভেস্টমেন্ট। যেই ফাউন্ডেশন মজবুত, সাফল্য একদিন তার পেছনেই দৌড়াবে।
তাহলে কী করবো?
🔰 প্রথমে জানো – কেন তুমি সাইবার সিকিউরিটি শিখতে চাও? শুধু টাকা? না, প্রযুক্তি ভালোবাসা? না, মানুষের উপকার করার উদ্দেশ্য?
🌟 জ্ঞান যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জ্ঞান মূল্যহীন।
তাই Cyber Security শেখো মানুষের উপকার করার উদ্দেশ্যে, দুনিয়া আরও নিরাপদ করার লক্ষ্যে।